Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

আর কোনো পুকুর ভরাট নয়

রাজশাহী প্রতিনিধি

আর কোনো পুকুর ভরাট নয়

রাজশাহী শহরে ১৯৬০ সালে পুকুরের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ হাজার ২৩৮টি। এরপর দিন দিন পুকুরের সংখ্যা কেবল কমেছেই। কয়েক বছর আগে জেলা প্রশাসন শহরে ৯৫২টি পুকুর আছে বলে তালিকা করে। এসব পুকুর সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুকুরগুলো অক্ষত ও প্রকৃত অবস্থায় রেখে সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার উচ্চ আদালতের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। রাজশাহী শহরের পুকুরগুলো আর কেউ যেন মাটি দিয়ে ভরাট না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৪ সালে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

রাজশাহী শহরে একের পর এক পুকুর ভরাট হতে থাকলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) পক্ষে আইনজীবী শওকত উদ্দিন রেন্টু রিটটি দাখিল করেছিলেন। এতে পরিবেশ ও বন সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) চেয়ারম্যান, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এবং রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনারকে বিবাদী করা হয়। সোমবার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাঁকে সহায়তা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মণ্ডল। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সামিউল আলম সরকার।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, রিটটি দাখিলের পর প্রথমে আদালত রুল জারি করেছিলেন। এতে রাজশাহী শহরের পুকুর ভরাট বন্ধে এবং সেগুলো সংরক্ষণের জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই আদেশ অনুযায়ী রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে শহরের পুকুরের সংখ্যা জানানো হয় ৯৫২টি।
রিটের আদেশে সোমবার আদালত বলেছেন, আর যেন একটি পুকুরও ভরাট না হয়, সেটি বিবাদীদের নিশ্চিত করতে হবে। পুকুরগুলো যাতে প্রকৃত বা পূর্বের অবস্থায় থাকে সেটিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে যেসব পুকুর ও দিঘি ভরাট হয়েছে সেগুলো পূর্বের অবস্থায় আনার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। রিট আবেদনটি চলমান মামলা হিসেবে অব্যাহত থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রাজশাহীতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর ভরাট করছেন। পুকুরের ওপর গড়ে তুলছেন অট্টালিকা। দেশের সংবিধান, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইনে সুনির্দিষ্টভাবে জলাধার সংরক্ষণের নির্দেশনা থাকলেও রাজশাহীতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তা মানেন না। এতে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। এসব আদালতের নজরে এনে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট করেছিল। অবশেষে আদালত পুকুর সংরক্ষণের নির্দেশনা দিলেন। এখন এটি নিশ্চিত করা হবে সেই প্রত্যাশাই করেন তিনি।

জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সচিব মো. মশিউর রহমান গতকাল বুধবার দুপুরে বলেন, উচ্চ আদালতের এ ধরনের কোনো নির্দেশনার কথা তিনি শোনেননি। আদালত এ আদেশ দিলে তাঁদের কাছে রায়ের কপি আসবে। সেটি এলে যা নির্দেশনা থাকবে, তা প্রতিপালন করা হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ