মাদারীপুর জেলায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকার ৮৫ স্থানে আধুনিক লুকিং গ্লাস বসানো হয়েছে।সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের নির্দেশে এসব লুকিং গ্লাস বসানো হয়। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে এ ব্যবস্থা নেওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন যানবাহনের চালক, যাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পাথুরিয়ারপাড়, ভাঙ্গা ব্রিজ, তাঁতাবাড়ি, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর, কলাবাড়ি, রাজৈর উপজেলার রাজৈর, টেকেরহাটসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে লুকিং গ্লাস বসানো হয়েছে। এ ছাড়া মাদারীপুর শহরের পুরাতন কোর্ট মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও দুর্ঘটনা রোধে লুকিং গ্লাস বসানো হয়। ফলে যানবাহনের চালকেরা মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের পাশের সড়কে যানবাহন চলাচল করলে তা দূর থেকে খুব সহজেই দেখতে পারছেন।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের আদালত থেকে গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি জেলার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করতে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়। পরে এসব দপ্তর দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
মাদারীপুর আদালত থেকে পুনরায় ৩০ মার্চ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে দুর্ঘটনাপ্রবণ ৮৫টি স্থানে লুকিং গ্লাস বসাতে আদালত নির্দেশ দেন। এরপর মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ লুকিং গ্লাস স্থাপনের কাজ শুরু করে। খুঁটির ওপর প্রতিটি গ্লাস স্থাপনে ৬২ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এসব গ্লাস বসানোর কাজ শেষ হয়।
ভুরঘাটা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী একটি পরিবহনের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সড়কের পাশে লুকিং গ্লাস বসানোর ফলে আমরা মোড়গুলোয় আগে থেকেই গাড়ি দেখতে পাই। এতে দুর্ঘটনা কম হবে।’
মাদারীপুর থেকে ঢাকাগামী চন্দ্রা পরিবহনের সুপার ভাইজার মো. মামুন-উর-রশীদ বলেন, ‘লুকিং গ্লাসের ফলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।’
মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান বলেন, ‘সড়কের পাশে স্থাপিত লুকিং গ্লাসের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা কমবে। যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে অনেকটাই ধৈর্য ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’