Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

তলিয়ে গেছে চারণভূমি বিপাকে পশু খামারিরা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

তলিয়ে গেছে চারণভূমি বিপাকে পশু খামারিরা

বন্যার পানিতে হাজার বিঘার গোচারণভূমিসহ বিস্তীর্ণ জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে মিলছে না সবুজ ঘাস। খড়, কচুরি, খৈল, ভুসিসহ প্যাকেটজাত গোখাদ্যেই প্রতিপালন করা হচ্ছে পশু। উচ্চমূল্যের এসব গোখাদ্য খাওয়ানোয় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ দুধ। এ ছাড়া উঁচু স্থান, বসতবাড়ি বা খামারের ছোট্ট জায়গায় গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে গবাদিপশু। এতে পশু আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। লোকসানের শিকার হচ্ছেন সিরাজগঞ্জে বন্যাকবলিত গোখামারিরা।

সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটা। এর একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থাপিত হয়। এরপর এই অঞ্চলে গবাদিপশু পালন ও দুগ্ধ উৎপাদনের বিপ্লব ঘটে। কারখানাটিকে ঘিরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়ার পাশাপাশি পাবনার বেড়া, ভাঙ্গুরা ও ফরিদপুরে গড়ে ওঠে হাজারো গরুর খামার। মিল্ক ভিটার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুগ্ধ সংগ্রহ সমিতির আওতায় এসব খামারের প্রায় ৪ লাখ গবাদিপশু চরানো ও সবুজ ঘাস উৎপাদনে বড়াল নদের পাড়ে হাজার হাজার বিঘা বাথানভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয় খামারিদের।

কিন্তু বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছরেই তলিয়ে যায় বাথানভূমিসহ কৃষকদের নিজস্ব ঘাসের জমি। এ বছরেও গত শুক্রবার রাতে বড়াল নদের রাওতারায় নির্মিত বালুর বাঁধে আকস্মিক ধস নামে। এতে ডুবে গেছে প্রায় পাঁচ উপজেলার বাথানভূমিসহ অন্তত ৪৫ হাজার হেক্টর জমি।

খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি বস্তা খৈল, ভুসি ও প্যাকেটজাত গোখাদ্যের দাম দুই থেকে চার শ টাকা বাড়িয়েছেন দোকানিরা। এতে বেড়েছে গবাদিপশু প্রতিপালন ও দুগ্ধ উৎপাদন ব্যয়। ব্যয় বাড়লেও সবুজ ঘাস না থাকায় কমেছে দুগ্ধ উৎপাদন। একই সঙ্গে ছোট্ট খামারের অল্প জায়গায় ইটের ওপর গবাদিপশু লালন-পালন করায় দেখা দিচ্ছে খুরা, তড়কা, ম্যাসটাইটিসসহ ভাইরাসজনিত নানা রোগ। এতে ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছেন গোখামারিরা। একই অবস্থা জেলার বন্যাকবলিত অন্যান্য স্থানের গবাদিপশু পালনকারীদেরও।

শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ি গ্রামের খামারি আইয়ুব হাজী বলেন, বর্তমানে গোখাদ্যের যে দাম তাতে গরু পালা কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন গরু বিক্রি করে গোখাদ্যের দামই উঠছে না। গরু লালন-পালন করে তাঁদের লাভের বদলে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

খামারি আবুল কালাম বলেন, ‘গরু বাথানে থাকলে সবুজ ঘাস খাইত, বেশি দুধ হইত। এখন বাঁধ ভেঙে বাথান পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু বাড়িতে রাখা হয়েছে। সবুজ ঘাস না খাওয়ার কারণে দুধ হচ্ছে কম। ঘাস পানিতে তলিয়ে গেছে। গরু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি সহায়তা দেওয়ার জন্য বন্যায় গবাদিপশু পালনকারীদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। খুরা, তড়কা, ম্যাসটাইটিসসহ নানা রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা দিতে মাঠে কাজ করছেন পশু চিকিৎসকেরা।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ