Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

টাকা না দিলে হয়রানি অন্তহীন

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

টাকা না দিলে হয়রানি অন্তহীন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। অফিসের কর্মচারীদের যোগসাজশে দালালেরা সেখানে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দালাল ছাড়া কেউ অফিসে সেবা নিতে গেলে শুরু হয় নানা টালবাহানা ও হয়রানি। চাহিদামতো টাকা না দিলে হয়রানির যেন অন্ত থাকে না।

এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় মো. চান মিয়া নামে এক ব্যক্তি অফিসের দালাল ও অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের দিকে নির্বাচন অফিসের সামনে ও বিভিন্ন কক্ষের ভেতর সেবাগ্রহীতাদের প্রচুর ভিড়। নির্বাচন কর্মকর্তা ভিড় ঠেকাতে অফিসের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রেখেছেন। নতুন আইডি কার্ড করতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শতাধিক সেবাগ্রহীতা এসেছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলের আইডি কার্ড করতে নির্বাচন অফিসে আসি। নির্বাচন কর্মকর্তা শত শত সেবাগ্রহীতার জন্মনিবন্ধন আটকে রেখে টাকা আদায় করতে হয়রানি করছেন। হয়রানির কারণ জানতে চাইলে নির্বাচন কর্মকর্তা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।’

ভলাকুট ইউনিয়নের বাঘী গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল ভৌমিক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি বিদেশ যেতে দ্রুত আইডি কার্ড করতে অফিসে আসি। কিন্তু নির্বাচন কর্মকর্তা সব কাগজ দেখে আমার বয়স কম, তাই আইডি কার্ড হবে না বলেন। পরে একজন দালাল অফিসের পেছনে নিয়ে আমাকে তাঁর স্যারকে (নির্বাচন কর্মকর্তাকে) কিছু খরচাপাতি দিলে বয়সে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান। তখন নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমি ৩ হাজার টাকা দিই। তবে কার্ড কখন পাব জানি না।’

হরিপুর ইউনিয়নের মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২২ সেপ্টেম্বর নতুন আইডি কার্ডের জন্য অফিসে সব কাগজপত্র জমা দিই। কিন্তু টাকা ছাড়া হবে না বলে আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে অফিসের ইমরান নামে এক ব্যক্তির কাছে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর চার মাস পর কার্ড হাতে পাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দালাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ অফিসের বিকাশ, রইস খান, মিজান, রুস্তম ও পারভেজই এসব কাজ করেন। তাঁরাই নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে চুক্তি করে অফিসে নিয়ে আসেন।

অনিয়ম ও হয়রানি বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনো সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুষ নিইনি। কাউকে হয়রানিও করিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ