মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান রাজা সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে হিসেব করলে সাত দশকের পুরোনো। বহুমাত্রিক জটিল এ সম্পর্ক সব সময় মধুর ছিল না। ইউক্রেনে রুশ হামলাকে কেন্দ্র করে আরেকটি নতুন চক্রে প্রবেশ করেছে দেশ দুটির সম্পর্ক।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর, আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বাড়তে শুরু করে জ্বালানি তেলের দাম। গত বৃহস্পতিবার পণ্যটির দাম ব্যারেলে ১১৯ ডলার ছাড়িয়েছে, যা ২০১২ সালের পর সর্বোচ্চ। এ অবস্থায় পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধি কমাতে জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ‘ওপেক প্লাসে’র সর্দার সৌদিকে অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তাতে কান দেয়নি দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন ‘দ্য আটলান্টিকে’ গত বৃহস্পতিবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে দীর্ঘ, ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখাই আমার উদ্দেশ্য। এ অবস্থায় আমার পদক্ষেপকে বাইডেন প্রশাসন কীভাবে নেবে, তা আমার ভাবার বিষয় নয়। ওয়াশিংটন তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায় কি না, সেটা তাদের ব্যাপার।
বিষয়সংশ্লিষ্ট এক সৌদি সূত্র জানায়, ইউরোপে চলমান যুদ্ধে এমবিএসকে মিত্র হিসেবে পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি কাজ করতে হবে। প্রথমত, এমবিএসকে সৌদি আরবের প্রকৃত রাজা হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইয়েমেন যুদ্ধে পুনরায় অস্ত্র সরবরাহ শুরু করতে হবে।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসুগির হত্যার সঙ্গে এমবিএসের সম্পর্ক আছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা বারবার অস্বীকার করেছেন এমবিএস।