নাটোরের বাগাতিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার কোনো দাখিল পরীক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। করোনাকালে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার সুযোগে তাঁদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
গত রোববার থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে অনুপস্থিত রয়েছে ওই মাদ্রাসার সব পরীক্ষার্থী। তিনটি বিষয়ের মধ্যে এ পর্যন্ত দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হলেও তাতে একজনও অংশ নেয়নি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হাদিস শরিফ বিষয়ের পরীক্ষায়ও তারা অনুপস্থিত ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাপ্রধান আব্দুর রউফ।
জানা গেছে, এ বছর বাগাতিপাড়ার পেড়াবাড়িয়া মাদ্রাসাকেন্দ্রে পাঁচটি মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এসব মাদ্রাসার মোট ৯৮ জন শিক্ষার্থী ওই কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু প্রতিদিন ৮৩ জন উপস্থিত হয়। অনুপস্থিত ১৫ পরীক্ষার্থীর সবাই বাগাতিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী। ওই মাদ্রাসা থেকে এ বছর ১৫ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। মাদ্রাসা সুপার ওই সব শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রও সংগ্রহ করেছিলেন।
কেন্দ্র সচিব ইব্রাহিম হোসাইন বলেন, তাঁর কেন্দ্রে পাঁচটি মাদ্রাসার ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র সংশ্লিষ্ট সুপারদের কাছে বিতরণ করা হয়। সবশেষে বাগাতিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা সুপারকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর সব প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীপ্রতি ৩০০ টাকা কেন্দ্র ফি দেওয়ার কথা থাকলেও পুরো ফি বকেয়া রেখে পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে প্রবেশপত্রগুলো দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই মাদ্রাসা থেকে কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
বাগাতিপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুর রউফ বলেন, চলতি বছর তাঁর মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারিতে সব ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।