রংপুরের তারাগঞ্জের থানা মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত সড়কটি ভেঙে গেছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে। সামন্য বৃষ্টিতেই সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়। এই সড়কের এক প্রান্তে উপজেলা পরিষদ অন্য প্রান্তে থানা ও বাজার। জলাবদ্ধতার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারীদের। একই অবস্থা তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কের এক কিলোমিটার অংশেরও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত এ দুটি সড়ক মেরামত করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশপাশের পাঁচটি গ্রামের মানুষ নিয়মিত চলাচল করে। বর্ষায় এলেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও সামন্য বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে যায়। নালা না থাকায় পানি নিষ্কাশন হয় না। পানি জমে থাকলে সড়কের কোথায় গর্ত তা বোঝা যায় না।
এতে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। থানাপাড়ার আরিফ শেখ বলেন, কয়েক দিন আগে এখানে একটি ভ্যান উল্টে চালকের পা ভেঙে যায়। পানি জমে থাকার কারণে বোঝা যায় না কোথায় গর্ত আছে, কোথায় নেই।
একই অবস্থা তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কের এক কিলোমিটার অংশেরও। সেখানে কোটি টাকা ব্যয় তিন বছর আগে নালা নির্মাণ করা হলেও তা কোনো কাজে আসছে না। নালাটি ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকায় দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেও তারাগঞ্জ বাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ক্রেতা, বিক্রেতা ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা নালাটি কোনো কাজে আসছে না। সামান্য বৃষ্টি হলে ওই এক কিলোমিটার অংশ পানি জমে। অনেক সময় সেই পানি দোকানের ভেতরেও পানি ঢুকে পড়ে।
উপজেলা বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই নালা এখন ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নালার পানির দুর্গন্ধে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। সড়কে পানি জমে থাকায় ক্রেতারা বাজারে তেমন আসছেন না। এই কারণে ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী হায়দার জামান বলেন, ‘তারাগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ সড়কটি আমাদের না। এটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের। সংস্কারের দায়িত্বও তাদের। আর তারাগঞ্জ থানা মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত সড়কটির দুই পাশে নালা ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করা হবে।’