রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রায় এক মাস ধরে নান্দিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন চলছে। অভিভাবকেরা বলছেন, নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষিকা এখানে থাকা অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীকে স্কুলে পাঠাবেন না তাঁরা।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন প্রায় চার বছর আগে নান্দিপাড়া স্কুলে যোগ দেন। তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন না। মাঝে মধ্যে স্কুলে এসে সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও গালিগালাজ করেন। এ সব ঘটনায় ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর অভিভাবকেরা প্রথম ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর ২০১৯ সালে ৩ অক্টোবর ও ২০২০ সালে শুরুতে একই দপ্তরে দুটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। গত ২৬ জুন বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। সবশেষ গতকাল প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বিষয়টি নিরসনে ও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আরেকটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিভাবক শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়ামিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। বিগত সময়ে দুই-একজন অভিভাবক এই বিষয়গুলোর প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষিকা তাঁদের মানহানির হুমকি দেওয়াতে তাঁরা পিছু হটেন। তবে এবার সব অভিভাবক এক সঙ্গে প্রতিবাদ করছেন।
স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার নিয়োগী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষিকার বিষয়টি আমরা জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি। তবে কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষিকার বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে অভিভাবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তারা গত ১৯ জুন থেকে শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। বিষয়টি নিরসনে ও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে গতকাল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর আরেকটি আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়ামিন বলেন, ‘আমি কখনই কোনো অনিয়ম করিনি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বি এম সানোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত করে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।