Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

তিন বছরে অর্ধেক কাজও হয়নি, চুরি হয়েছে খেলনা

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া

তিন বছরে অর্ধেক কাজও হয়নি, চুরি হয়েছে খেলনা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় শেখ রাসেল শিশুপার্কটির নির্মাণকাজে গত তিন বছরেও অর্ধেক শেষ হয়নি। এখনো নির্মাণ হয়নি পার্কের দুই পাশে সীমানাপ্রাচীর। এতে পার্কে স্থাপন করা শিশুদের খেলনাসামগ্রীর বেশির ভাগ চুরি হয়ে গেছে। এখন পার্কে দিনের বেলায় গরু-ছাগল চরে আর রাতে বসে মাদক ও অসামাজিক কাজের আড্ডা।

এদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, বরাদ্দ শেষ। নতুন বরাদ্দ এলে আবার কাজ শুরু হবে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে রাজ পরগনার আমবাগানের ২.৫৯ একর জমিতে শেখ রাসেল শিশুপার্ক স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন। সে মোতাবেক ওই স্থানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরপর সাত লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে থাকা পুরোনো গাছগুলোর গোড়া পাকা করা ও একটি মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হয়। এতে পুরোনো সব আম ও নারকেলগাছ মরে গেছে, যার বর্তমানে কোনো চিহ্ন নেই।

এরপর ২০২১ সালে পার্কটির নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বরাদ্দে পার্কের দুই পাশের দেয়াল, মূল ফটক ও শিশুদের জন্য চারটি খেলারসামগ্রী স্থাপন করে নির্মাণকাজ শেষ করা হয়। বর্তমানে পুরো পার্ক এলাকা অরক্ষিত ও অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উত্তর পাশে পার্কের গেট নির্মাণ করা হয়েছে আর দক্ষিণ পাশে বাউন্ডারি দেয়াল তোলা হয়েছে। বাকি পূর্ব ও পশ্চিম ফাঁকা পড়ে আছে।

শিশুদের জন্য দোলনাসহ চারটি খেলনা স্থাপন করা হয়। বর্তমানে পার্কটি অরক্ষিত থাকায় ওই খেলনাসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী চুরি হয়ে গেছে। দিনের বেলায় পুরো পার্কে গরু-ছাগল চরে আর সন্ধ্যার পর থেকে জমে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ।

পার্ক দেখতে আসা তারিক জামান বলেন, রাজবাড়ী ছাড়া শিশুদের জন্য পুঠিয়ার কোথাও কোনো বিনোদনের জায়গা নেই। তিন বছর আগে পার্কটির কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো আলোর মুখ দেখেনি। শিশুদের জন্য নামমাত্র দুই-তিনটি খেলনা স্থাপন করা হলেও তা এখন আর নেই।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবু বলেন, শেখ রাসেল পার্ক স্থাপনের শুরুতে অপরিকল্পনার কারণে অনেক আম ও নারকেলগাছ মারা গেছে। গত অর্থবছরে প্রায় ২৫ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে; কিন্তু এখনো পার্কটি অরক্ষিত, যার কারণে পার্কে স্থাপন করা শিশুদের বিভিন্ন খেলারসামগ্রী চুরি হয়ে যাচ্ছে।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, পুরো পার্কটি সুরক্ষিত করে ইজারা দেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে শিশুদের বিনোদনে ভিন্নমাত্রার পাশাপাশি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, ‘পার্কটি আধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে নির্মাণব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। ফলে যা বরাদ্দ পেয়েছিলাম তা শেষ। নতুন করে আবার বরাদ্দ এলেই পুরো পার্কে নিরাপত্তাপ্রাচীর দেওয়া হবে।’

মোহাস্মদ আনাছ আরও বলেন, প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করে পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা রোপণ করা হয়েছিল; কিন্তু পুরো এলাকায় সীমানাপ্রাচীর না থাকায় গাছগুলো ওই এলাকার লোকজন কেটে নিয়ে গেছে। এবার বরাদ্দ এলে পুরো কাজ শেষ করে পার্কটি ইজারা দেওয়া হবে। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ