Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বোরো ধান ঘরে তোলা শেষ আউশ রোপণ শুরু

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

বোরো ধান ঘরে তোলা শেষ আউশ রোপণ শুরু

নরসিংদীর রায়পুরায় টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির মধ্যেই বোরো ধান ঘরে তোলা শেষ করেছেন কৃষকেরা। এখন শুরু হয়েছে আউশ ধানের চারা রোপণ। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে জমি তৈরি করা হয়েছে। তবে বাজারে বোরো দাম কম থাকায় কিছুটা ভয় থাকলেও গত মৌসুমে লাভ হওয়ায় আউশ রোপণ করছেন কৃষকেরা। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বোরো ধান কাটা শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৯৫ শতাংশ জমির বোরো ধান কাটা শেষ। শুরু হয়েছে আউশ জমি তৈরি ও ধানের চারা রোপণ। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আউশ রোপণ শেষ হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ৫৮৩ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৯ হেক্টর বীজতলা তৈরি হয়েছে। চলতি মৌসুমে আউশ ধান চাষ করতে নয় শ কৃষককে সরকারিভাবে উচ্চফলনশীল (উফশী) ধানের পাঁচ কেজি বীজ ও ৩০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে।

উপজেলার মুছাপুর মির্জাপুর মহেষপুর রায়পুরা পলাশতলী মির্জানগর আমিরগন্জ ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে আউশ ধানের চারা রোপণ।

উপজেলার পূর্বহরিপুরের কৃষক আবদুস সালাম, সাইদ মিয়া, আব্দুর রহমান, হারুনুর রশিদ, ফারুক মিয়া বলেন, ‘বোরো ধান ঘরে তুলে আউশ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করেছেন তাঁরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জমিতে চারা রোপণ করা হবে। তবে বোরোর বাজারদর কম থাকায় আউশ ধান চাষ করতে ভয়ে পাচ্ছেন। তার পরও গত বছর যারা খেত করে ছিলো তারা ভালো ফলন পাওয়ায় চলতি মৌসুমে সবাই আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বর্গাচাষি গনি মিয়া বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সেচ খরচ কম হওয়ায় আশেপাশের সব জমিতে আউশ লাগানো হচ্ছে। এক একর জমিতে আউশ ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে চারা রোপণ করব। তবে আগামী কয়েক দিনের বৃষ্টি না হলে জমি তৈরি করতে খরচ বেড়ে যাবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে এ মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়। তাই এ মৌসুমে সেচের খরচ কম হয়। এ কারণে রায়পুরা উপজেলায় আউশ ধানের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের সর্বাত্মক সহায়তার পাশাপাশি পরামর্শ দিয়ে আসছে। এ বছর ৫৮৩ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। গতবছরে উফশী আউশ ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪৫ হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ৫৬০ হেক্টর। এ বছর ৪৯ হেক্টর বীজতলা তৈরি হয়েছে। চলতি মৌসুমে আউশ ধান চাষ করতে নয় শ কৃষককে সরকারিভাবে উচ্চফলনশীল (উফশী) ধানের পাঁচ কেজি বীজ ও ৩০ কেজি করে সার দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে আশা করা যাচ্ছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ