Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

তিনি ঘুষ নেন লক্ষাধিক টাকা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

তিনি ঘুষ নেন লক্ষাধিক টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী বাবুল আহমেদের বিরুদ্ধে পেনশনের টাকা উত্তোলনসহ সব কাজেই ঘুষ নেওয়ার বিস্তার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর প্রধান লক্ষ্য থাকে পেনশনের টাকা উত্তোলনকারীরা। তাঁদের কারও কারও কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকাও ঘুষ নেন তিনি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পেনশনের টাকা উত্তোলনে এক নারীর কাছ থেকেই নানা অজুহাতে ১ লাখ ১২ হাজার টাকার ঘুষ নেন বাবুল আহমেদ। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন মনিয়ন্দ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফডব্লিউএ) জয়া রাণী চক্রবর্তী। তিনি ছাড়া আরও কয়েকজন এ ধরনের অভিযোগ করেছেন বাবুলের বিরুদ্ধে।

জয়া রাণী চক্রবর্তীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জয়া রাণী চক্রবর্তী দীর্ঘ দিন চাকরি করেছেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় পেনশনের টাকার জন্য তাঁর স্বামী অজয় চক্রবর্তী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অফিস সহকারী বাবুল আহমেদের শরণাপন্ন হন।

অভিযোগ পত্রে জয়া রাণী চক্রবর্তী উল্লেখ আরও করেন, অফিস সহকারী বাবুল আহমেদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে পেনশনের টাকার অনুমোদন পাস করাতে খরচ বাবদ বিভিন্ন ধাপে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা নেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক যুগের বেশি সময় এখানে চাকরি করছেন অফিস সহকারী বাবুল আহমেদ। তাঁর ইচ্ছায় চলছে পরিবার পরিকল্পনা অফিস। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মাঠকর্মীদের পেনশনের টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পেতে তাঁকে টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া হয়রানি ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়াসহ নানা অনিয়মেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

জানতে চাইলে বাবুল আহমেদ বলেন, ‘মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, আমারও ভুল হতে পারে। তবে আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে।’

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাবুলকে ‘আমার বাবুল’ সম্বোধন করে বলেন, সে এ রকম কোনো কাজ করতেই পারে না।

তবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, বাবুল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রশাসন ইউনিটের সহকারী পরিচালক ফখরুল আলম জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অগ্যজাই মারমা বলেন, ‘বাবুল আহমেদের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। অপরাধ প্রমাণিত হলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ