Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ

শীতের শুরুতেই শরীয়তপুরে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে শিশুর নিউমোনিয়া, পেটের ব্যথা ও ব্রংকাইটিস রোগ। গত এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ১২ শতাধিক শিশু। স্বাভাবিকের তিন গুণের বেশি রোগী ভর্তি থাকায় বারান্দায় ও মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে শিশুদের। চিকিৎসকেরা জানান, আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শিশু রোগের প্রকোপ। আতঙ্কিত না হয়ে অভিভাবকদের নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নভেম্বরের শুরু থেকেই হাসপাতালে বাড়তে থাকে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। গত ৯ দিনে শুধু শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে ৫ হাজার ৭৮৯ জন রোগী, যার ৩৩ শতাংশই শিশু। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে শিশুদের জন্য থাকা ২০ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি থাকছে অন্তত ৮২ শিশু। আর প্রতিদিন নতুন ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা থাকছে ১০০-এর ওপরে।

গতকাল বুধবার সকালে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, অসুস্থ শিশুসন্তানের জন্য শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে নোংরা পরিবেশে শিশুর চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক অভিভাবকেরা। হাসপাতালের সিঁড়ির সামনের করিডর, মহিলা, শিশু, সার্জারি ও গাইনি ওয়ার্ডের সামনে থাকা বারান্দার মেঝেও রোগীদের চাপে কানায় কানায় পূর্ণ। হাসপাতালের ওয়ার্ডের রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটের সামনের মেঝেতেও আছেন কেউ কেউ। মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের প্রতিটি শয্যা পরিপূর্ণ। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে হাসপাতালের নিচতলা ও দোতলায় থাকা চিকিৎসকদের কক্ষের সামনে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসকের সিরিয়াল পাচ্ছেন না অনেকে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালটি রোগীর চাপে ছিল পরিপূর্ণ। চিকিৎসা নিতে আসা বিপুলসংখ্যক রোগী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

সোমবার বিকেলে শিশুর ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসেন ভেদরগঞ্জের ছয়গাঁও এলাকার মেহেরুন্নেসা। শিশুর যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ভর্তি করার পর শয্যা না পেয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালের মেঝেতে শিশুকন্যাটির চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, মানুষ দাঁড়ানোর জায়গা নাই শয্যা পাব কোথায়? মশার কামড় খেয়ে শিশুসহ আমি নিজেও অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

শরীয়তপুর সদরের ডোমসার এলাকার সুলতান মাদবর বলেন, ‘দুই দিন ধরে অসুস্থ পোলাডারে লইয়া হাসপাতালের বারান্দায় আছি। পোলা আমার আরও বেশি অসুস্থ হইয়া পড়ছে। ডাক্তার আইয়া একবার দেইখা গেছে। পোলারে নাকে গ্যাস দিতে কইছে। হাসপাতালে একটা গ্যাসের যন্ত্র দিয়া সব পোলাপানরে গ্যাস দেয়। অনেকক্ষণ দাঁড়াইয়া থাইকাও যন্ত্রটা পাই নাই।’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত তিন গুণেরও বেশি শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা দিতে গিয়ে আমাদের খুবই বেগ পেতে হচ্ছে। অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, শিশুদের যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে। প্রতিদিন শিশুদের হালকা গরম পানিতে গোসল করাতে হবে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুস সোবাহন বলেন, হাসপাতালে অস্বাভাবিকভাবে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। হাসপাতালটিতে থাকা মাত্র দুইজন শিশু বিশেষজ্ঞদের পক্ষে এই বিপুলসংখ্যক রোগীর সেবা দেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য। তারপর রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে হাসপাতালের সরবরাহকৃত ওষুধের কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ