যশোরের দৈনিক রানার পত্রিকার সম্পাদক আর এম সাইফুল আলম মুকুল হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি দুই যুগেও। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে এক আসামির রিটের কারণে মামলার বিচারকাজ স্থবির হয়ে আছে।
আর উচ্চ আদালতে রিটের নিষ্পত্তি না হলে নিম্ন আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম ইদ্রিস আলী। এদিকে বিচার না পেয়ে ক্ষুব্ধ মুকুলের পরিবার ও যশোরের সাংবাদিক সমাজ।
এ অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিক মুকুলের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ৩০ আগস্ট রাতে রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল শহর থেকে বেজপাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে চারখাম্বার মোড়ে দুর্বৃত্তদের বোমা হামলায় নিহত হন। পরদিন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী হাফিজা আক্তার শিরিন কারও নাম উল্লেখ না করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি দুলাল উদ্দিন আকন্দ ১৯৯৯ সালের ২৩ এপ্রিল সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। একপর্যায়ে আইনি জটিলতার কারণে মামলার কার্যক্রম থমকে যায়। পরে মামলাটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন পর ২০০৫ সালে হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সিআইডি কর্মকর্তা মওলা বক্স নতুন দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০০৬ সালের ১৫ জুন যশোরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল (৩) এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (২) ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মুকুল হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। এ সময় মামলা থেকে তৎকালীন মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম ও রূপম নামের আরেক আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০১০ সালে মামলার ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে।
এম ইদ্রিস আলী জানান, মুকুল হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু হাইকোর্টে এক আসামির আবেদনের কারণে মামলার শুনানি শুরু করা সম্ভব হয়নি। হাইকোর্টে আবেদনের নিষ্পত্তির পর সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।