এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপ থেকে চার দলের সামনেই ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালের দুয়ার উন্মুক্ত। চার দলের জন্যই সমীকরণটা একদিকে যেমন সহজ আবার জটিলও। তবে সবচেয়ে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের।
মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় দিয়ে শুরু হয়েছিল বসুন্ধরার এএফসি অভিযান। জয়ের স্বস্তিটা উবে গেছে পরের ম্যাচেই। টানা ম্যাচ খেলে ক্লান্ত বসুন্ধরার ফুটবলারদের মাটিতে নামিয়ে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। ওই এক হারেই সমীকরণটা কঠিন করে ফেলেছে অস্কার ব্রুজোনের দল।
‘ডি’ গ্রুপে চার দলেরই সংগ্রহ সমান, ৩ পয়েন্ট করে। প্রত্যেকেই জিতেছে এক ম্যাচ, হেরেছেও একটি করে। গোল ব্যবধানে শীর্ষে মোহনবাগান। তলানিতে বসুন্ধরা। গোল ব্যবধানের কারণেই যুব ভারতী স্টেডিয়ামে আজ বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া ম্যাচটায় গোকুলম কেরালার বিপক্ষে বসুন্ধরাকে জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে রাতে মাজিয়া-মোহনবাগান ম্যাচটার দিকেও। এ দুই দলের লড়াইটা ড্র হলেই কেবল বসুন্ধরার সামনে সুযোগ থাকবে প্রথমবারের মতো ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে খেলার।
মাজিয়া-মোহনবাগান ম্যাচের ফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ার আগে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া বসুন্ধরা কোচ ব্রুজোন। দেয়ালে পিঠ ঠেকা বসুন্ধরাকে নিয়ে শেষ একটা লড়াইয়ের হুংকার ব্রুজোনের। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন ‘আগের ম্যাচে ভুলের পরও আমাদের লড়াইয়ের শেষ একটা সুযোগ আছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে হবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন একটা দল, সমস্যার পরও কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় সেটা জানি। আগের দিনও ফুটবলারদের মানসিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। গোকুলমের খেলা বিশ্লেষণ করে দেখার পরও বুঝতে পারলাম যে তারা কীভাবে খেলে এবং তাদেরও হারানো সম্ভব।’