বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে তিনটি গ্রামের কয়েক শ পরিবার। উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের রামেরবাজার খালের ওপর ২০০০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত সেতুটির মাঝের অংশ দেবে গেছে। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছরেও তা সংস্কার হয়নি। এলাকাবাসীর আশঙ্কা—যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শুধু হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ইরি ব্লকের চাষিরা।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর মাঝের অংশ দেবে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও ভ্যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনই সেতু পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন কেউ না কেউ। সেতুটি সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় এলাকাবাসী সেতুর ওপর বাঁশ রেখে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য অমল হালদার বলেন, ‘২০০০ সালে নির্মিত এই সেতুতে মানুষ উঠলে সবাই আতঙ্কে থাকেন। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথাই নেই।’
স্থানীয় লীলা বিশ্বাস বলেন, এই সেতুর ওপর দিয়ে পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করেন।
ধান ব্যবসায়ী অজয় সমদ্দার জানান, এখানকার চাষিরা ধান বিক্রি করতে চাইলেও শুধু ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে কোনো পরিবহন নিতে না পারায় ধান বিক্রি করেত পারছেন না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী শিবলু কর্মকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি বেহাল। সেতুটি সংস্কার করা হলে এই এলাকাসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। অচিরেই সমস্যার সমাধান করা হবে।