ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
ধানের বাম্পার ফলন আর বাজারে ভালো দাম থাকায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা। ধানের খড়ও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বর্তমানে ধান কাটা আর মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষক নূর নবী শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে, বাজারে দামও ভালো। জমি থেকেই খড় অগ্রিম টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে দুই ফসলি জমিতে তিন ফসল আবাদ করেছি। প্রায় কৃষকই তিন ফসল আবাদে ব্যস্ত। এতে কৃষকেরা এবারও লাভের মুখ দেখছেন।’
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, উচ্চফলনশীল জাতের পাশাপাশি স্থানীয় জাতের ধানসহ ১০ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি পোষাতে সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন কলাকৌলশলসহ দেওয়া হয়েছে নানা পরামর্শ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন
হয়েছে এবার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষকেরা ধান কাটা আর মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত। হারভেস্টার ও শ্রমিক দিয়ে ধান কেটে মাড়াই হচ্ছে। বেশির ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে উন্নত জাতের ধান। উপজেলার নিম্ন অঞ্চল মুশুদ্দি, বলিভদ্র, বীরতারা ও পাইস্কাতেও হয়েছে ধানের বাম্পার ফলন। বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয়েছে ২১ থেকে ২৪ মণ। উপজেলায় গবাদিপশু পালন বাড়ায় প্রতি বিঘা ধানের খড় বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায়। এ ছাড়া যেসব জমিতে কৃষকেরা ইতিমধ্যে ধান কাটা শেষ করেছেন তাঁরা শীতকালীন স্বল্প আয়ুকালের ফসল ও সবজি লাগাতে জমি প্রস্তুত করছেন, আবার কেউ শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি বাজারে বিক্রি করছেন চড়া দামে।
মুশুদ্দি ইউনিয়নের ঝোপনা পূর্বপাড়া গ্রামের কৃষক মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি ব্রি ধান৯৫ জাতের আবাদ করেছি। অন্য জাতের তুলনায় বিঘাপ্রতি ৩ মণ ধান বেশি হচ্ছে।’ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। যেসব জমিতে তিন ফসল আবাদ করা যায়, তাঁদের আগ্রহী করা হচ্ছে। এতে কৃষকেরা আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষকেরা তিন ফসল আবাদে আগ্রহী। কোন ফসল কখন আবাদ করতে হবে, তাঁদের জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ১৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।’