মো. রিপন হোসেন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে ঘর উপহার দিচ্ছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে এসব ঘর নির্মাণে যেন দুর্নীতি না হয়, সে জন্য ঠিকাদারের পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা প্রশাসনকে। তারপরও কাজের মান ঠিক রাখা যায়নি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবননগর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলামের অধীনে নির্মিত ৮৫টি ঘরের মেঝে ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। অনেক ঘরের মেঝের ঢালাই উঠে পলিথিন দেখা যাচ্ছে। এসব ঘরের মেঝেতে ইটের সলিংয়ের বরাদ্দ থাকলেও দেওয়া হয়েছে পলিথিন। এদিকে আরসিসি ঢালাইসহ ভিত ৩ দশমিক ৩ ফুট হওয়ার কথা থাকলেও আছে দুই থেকে আড়াই ফুটের মতো। আর ঘরের উচ্চতা ৮ দশমিক ৬ ফুটের জায়গায় করা হয়েছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ ফুট। আর সিমেন্টের পরিমাণ কম দেওয়ায় মাত্র ছয় মাসে খসে পড়ছে পলেস্তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগরের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম ও ঝিনাইদহের বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে ফোন করা হলে তিনি জীবননগরে ইউএনওর বাসভবনে দেখা করতে বলেন। ঘরের মেঝের সলিংয়ের ইট, ভিত ও দেয়ালের উচ্চতার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে তিনি সব সময় ঘরের কাজ তদারকি করতে পারেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র বলেন, আমি নতুন এসেছি । ঘরের বিষয়ে আরিফুল ইসলাম বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে আমাদের ব্যবস্থা নিতে আরও সুবিধা হতো। তবে এটা প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম মানা হবে না। আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘কী কী অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো পয়েন্ট করে লিখে পাঠান। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে জানতে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হককে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।