Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ফুটবলে সেরা বিদ্যালয়ের মাঠটিই কেবল বেহাল

বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান

ফুটবলে সেরা বিদ্যালয়ের মাঠটিই কেবল বেহাল

প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ভিত্তিক ফুটবল খেলায় জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ হওয়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী আলী মিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি বেহাল। ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একমাত্র বিনোদনের স্থান এই মাঠটি; কিন্তু স্কুলমাঠটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায়, কর্দমাক্ত হয়ে খেলার অযোগ্য হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, শিশুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য খেলার মাঠের গুরুত্ব অপরিসীম হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাঠটির বিষয়ে উদাসীন। বিকেল নামতেই পুরো এলাকার শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী এমনকি বয়স্করাও এই মাঠেই নানা আয়োজনে মেতে ওঠেন। তবে মাঠটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই মাঠটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকেরা।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে বিদ্যালয়টির অবস্থান। কোলাহলমুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পুরো বিদ্যালয়ের আশপাশ ও শ্রেণি কক্ষগুলো। কিন্তু শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার মাঠটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে গেছে, বেশির ভাগ অংশেই ঘাস নেই। বর্ষা মৌসুমে মাঠটি পানিতে ডুবে থাকে। চলতি ভাদ্র মাসে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠটি এখনো তলিয়ে আছে। তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ফুটবলসহ খেলাধুলা করতে পারছে না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মংলাক্য মারমা বলেন, বিদ্যালয়ের অন্য সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম খেলার মাঠটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জেলা পর্যায়ে খেলা রয়েছে। কাদাপানিতে মাঠটি একাকার হয়ে গেছে। ঠিকমতো শিক্ষার্থীদের অনুশীলন করানো যাচ্ছে না।

সংস্কার করা না হলে বর্তমানে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে মাঠটি আরও নষ্ট ও গর্ত হয়ে খেলার অযোগ্য হয়ে যাবে। আর শিক্ষার্থীরা খেলার সুযোগ না পেলে ভবিষ্যতে স্কুলভিত্তিক জাতীয় পর্যায়ে ফুটবলে ভালো করা সম্ভব নয়।

প্রধান শিক্ষক জানান, আলী মিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে জেলায় চ্যাম্পিয়ন, ২০১৪ সালে রানার্সআপ, ২০১৫ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ে রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এবারের খেলায়ও উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবারও বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্দমাক্ত মাঠে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম বলেন, ‘বর্তমানে আমার হাতে কোনো প্রকল্প বরাদ্দ নেই। তারপরও আমি নিজ উদ্যোগে খেলার উপযোগী করার জন্য কাজ করে যাব।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরত্ন চাকমা বলেন, তাঁদের কাছে খেলার মাঠ সংস্কারের তেমন বরাদ্দ নেই। তারপরও তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাবেন।

আলী মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদাউসের কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ