আগৈলঝাড়া উপজেলার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো. বদিউল আলম বাবুল শাহ অন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী করে তুলতেও ভূমিকা রাখছেন। প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
বারপাইকা গ্রামের মো. এরফান শাহর ছেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. বদিউল আলম বাবুল শাহ। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ওই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে বদিউল আলম নিজেই দায়িত্ব পালন করে আসছে। তিনি ২০১৭ সালে সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দুস্থ মহিলা ও পুরুষসহ বর্তমানে ৬ হাজার সদস্য রয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিঠু মধু জানান, বর্তমানে এই সংস্থার আওতায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য স্কুল, সেলাই প্রশিক্ষণ, সেলাই মেশিন প্রদান, হুইলচেয়ার বিতরণ, এমব্রয়ডারি, হাঁস-মুরগি-ছাগল পালন, সবজি চাষ, কুটির শিল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন প্রতিবন্ধীরা।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাঁদনী আক্তার বলেন, ‘জন্ম থেকে চোখের দৃষ্টি না থাকায় সবার কাছেই অবহেলার পাত্র ছিলাম। এখন এই সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি স্বাবলম্বী।’
বদিউল আলম বাবুল বলেন, ‘৩১ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তুলেছি এ প্রতিষ্ঠান। সরকারি ও বিত্তবানদের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা হয় না, সম্পদে পরিণত হয়।