নেত্রকোনার আটপাড়ায় বইছে শারদীয় দুর্গাপূজার হাওয়া। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব উপলক্ষে উপজেলার মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষের পথে। এখন বাকি শুধু রংঙের কাজ। এ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা কারিগর ও আয়োজকেরা।
এ উপজেলায় ৪০ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আগামী ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। শেষ হবে ১৫ অক্টোবর দশমীতে প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।
উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মন্দিরে প্রতিমা তৈরির মাটির কাজ শেষ । বাকি শুধু রংতুলির কাজ। ঢাকের বাজনা, উলুধ্বনি আর আরতিতে মুখরিত হয়ে ওঠার অপেক্ষায় মণ্ডপগুলো। মন্দিরগুলোতে খড় ও মাটি দিয়ে পরম যত্নে গড়া হয়েছে প্রতিমা। আর এসব প্রতিমা তৈরিতে দম ফেলার ফুসরত নেই প্রতিমা কারিগরদের। দুর্গার সঙ্গে সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলছেন নিপুণ হাতের ছোঁয়ায়। এরপর রংতুলির টানে প্রতিমাগুলোর চূড়ান্ত রূপ ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন প্রতিমা কারিগরেরা। এ বছর একেকজন কারিগর ৪ থেকে ৮টি করে প্রতিমা তৈরি করেছেন। করোনাকালীন চাহিদার তুলায় মজুরি কম পেলেও উৎসাহী হয়ে কাজ করছেন তাঁরা
প্রতিমা কারিগর দেবাশীষ পাল বলেন, ‘পূজা শুরুর দিন পর্যন্ত রং এর কাজ করতে হবে। এবার আমি ৪টি প্রতিমা তৈরি করেছি।’
এক আয়োজক দিলীপ সরকার বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা সরকার ও পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা পেয়েছি। পূজা উদ্যাপনে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানা হবে।’
পূজা উদ্যাপন পরিষদ আটপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল দত্ত বলেন, ‘এবার উপজেলায় ৪০টি মণ্ডপে পূজা উদ্যাপিত হবে। তবে এ বছর নাজিরগঞ্জ বাজারের কাচারিবাড়ি মণ্ডপে অনিবার্য কারণে পূজা হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতিটি মন্দিরে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’