শীত আগমনে খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কেশবপুরের গাছিরা। হেমন্তের শুরুতেই তাঁরা রস সংগ্রহের জন্য ঠিলে, খুংগি, দড়া, গাছি দাঁ ও বালিধরাসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ তৈরীর পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ী ও মজিদপুর ইউনিয়নে খেঁজুরের রস-গুড় বেশী উৎপাদন হয়। শীতের শুরুতেই কেশবপুরের গাছিরা রস ও গুড়ের জন্য খেঁজুরের গাছ পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খেঁজুর গুড়ের জন্য যশোরের যে ঐতিহ্য, এর পেছনে কেশবপুরের গাছিদেরও শ্রম রয়েছে।
গ্রামীণ জীবনে এসব গাছিদের সময়টা কেটে যায় খেঁজুর গাছের সঙ্গে। দিনের বেশির ভাগ সময় পার করেন এক গাছ থেকে অন্য গাছে উঠা-নামা করে।
পৌরসভার সাবদিয়া গ্রামের গাছি আনিছুর রহমান বলেন, ‘শীতের শুরুতে রসের দাম অনেক বেশি পাওয়া যায়। শীত এলেই প্রায় প্রত্যেক পরিবারে মেয়ে-জামাইকে রসের পিঠা ও পায়েস খাওয়ানোর জন্য খেজুর রসের কদর বেড়ে যায়। এ জন্য আগে ভাগে খেজুর গাছ পরিষ্কার করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, ‘উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। তার মধ্যে শীত মৌসুমে প্রায় ১ লাখ গাছ থেকে রস আহরণ করা হয়ে থাকে। মৌসুমের শুরুতেই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে রস সংগ্রহ ও গুড় উৎপাদনে বিভিন্ন সংগঠন গাছিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে।’