বাঘারপাড়ায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে।
ওই ছাত্রী উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় সোমবার মেয়েটির বাবা যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
ট্রাইব্যুনাল-১-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক নিলুফার শিরীন অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার স্বপন বালার ছেলে শেখর বালা ও তার মা শিখা রানী বালা ছাড়াও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, আসামি শেখর বালা বিবাহিত। বাদীর বাড়ির পাশে তাঁর পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বাস করতেন শেখর। বাদীর মেয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় শেখরবালা তাকে উত্ত্যক্ত করত। বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাবও দিত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০২১ সালে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শেখর শর্মা। কৌশলে সে সময় পালিয়ে আসে মেয়েটি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়। তবে কয়েক দিনের মাথায় আবারও একই ধরনের আচরণ শুরু করেন শেখর।
সর্বশেষ গত ৫ মার্চ সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শেখর বালাসহ ৪-৫ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ একটি মাইক্রোবাসে বাদীর বাড়িতে আসেন। এরপর ছাত্রীর গলায় দা ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। একপর্যায়ে বাদীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা আসামির গোপালগঞ্জের বাড়িতে যান।
শেখরের মাকে দেখতে পেয়ে ওই ছাত্রীকে ফেরত চাইলে সে জানায়, কাজলকে শেখর তাকে আটকে রেখেছে। শেখরের সঙ্গে তাকে বিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় নিখোঁজ মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে বাঘারপাড়া থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে সোমবার আদালতে মামলা করেন স্কুলছাত্রীর বাবা।