Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিলুপ্ত সিনেমা হলের শহর

রাজশাহী প্রতিনিধি

বিলুপ্ত সিনেমা হলের শহর

সিনেমার প্রচারের জন্য রাজশাহীতে আগের মতো মাইকিং হয় না। শোনা যায় না ‘আসিতেছে...’ ‘চলিতেছে...’ ইত্যাদি। কারণ, একটাই—রাজশাহীতে কোনো সিনেমা হলই নেই। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলা সিনেমা নিয়ে হইচই হলেও রাজশাহীর সিনেমাপ্রেমীরা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পারছেন না।

দেশের একটা বিভাগীয় শহরে সিনেমা হল না থাকা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বলছেন সিনেমাপ্রেমীরা। প্রেক্ষাগৃহ না থাকলেও এ শহরে সিনেমা তৈরির চর্চা রয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়া পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘শাটিকাপ’ নির্মিত হয়েছে রাজশাহীতেই। বিভিন্ন সংগঠন এখানে চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছে। সবার দুঃখ একটাই—নেই সিনেমা হল।

অথচ রাজশাহী শহরেই ছয়টি সিনেমা হল ছিল। একে একে ভেঙে ফেলা হয়েছে সব কটিই।

সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া কয়েকটি সিনেমা নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে একটি ‘হাওয়া’। ‘পরাণ’ নিয়েও আগ্রহের কমতি নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ম্যাজিক লণ্ঠন’ নামের একটি সংগঠনের কয়েকজন সদস্য তো মুক্তির দিন পাবনা গিয়ে রূপকথা সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ ছবিটি দেখে এসেছেন। ম্যাজিক লণ্ঠন চলচ্চিত্র নিয়ে গবেষণা ও প্রকাশনার কাজ করে থাকে।

পাবনায় গিয়ে সিনেমা দেখে এসেছেন ম্যাজিক লণ্ঠনের শেখ ফাহিম। তিনি বলেন, ‘“হাওয়া” নিয়ে এতই আলোচনা যে শেষ পর্যন্ত আমরা পাবনা গিয়ে সিনেমাটি দেখে আসি।’

সিনেমা হল নিয়ে আক্ষেপের বিষয়টি রাজশাহীতে মাঝেমধ্যেই উঠে আসে। গত বছর শারদীয় দুর্গোৎসবে নগরীর সাগরপাড়ায় শিবমন্দিরের পূজামণ্ডপ সাজানো হয়েছিল বিলুপ্ত ‘কল্পনা সিনেমা’ হলের আদলে। মণ্ডপের সামনে দেয়ালে দেয়ালে সাঁটানো হয়েছিল বাংলা সিনেমার পোস্টার।

শিবমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু বলেন, সব কটি সিনেমা হল ভেঙে বাণিজ্যিক ভবন করা হচ্ছে। অন্তত কল্পনা সিনেমা হলের জায়গায় এখনো একটা সিনেপ্লেক্স করার সুযোগ আছে। রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন সে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি।

রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জাবীদ অপু বলেন, ‘সবশেষ যখন উপহার সিনেমা হল ভাঙা হয়, তখন আমরা আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের পাশে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, রাজনীতিক ফজলে হোসেন বাদশার মতো মানুষও ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিমালিকানার ওই হল রক্ষা করা যায়নি।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ড. সাজ্জাদ বকুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগীয় শহর হলেও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমরা সিনেমার সামাজিক বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। উপহার সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় আমরা তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে দেখা করি। আমরা শহরের শেষ সিনেমা হলটি রক্ষার কথা বলেছিলাম। সেটা হয়নি। এখন সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে একটা প্রেক্ষাগৃহ কিংবা সিনেপ্লেক্স করার দাবি জানাচ্ছি। এ দাবি আমরা জানাতেই থাকব।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ