Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ঘাটতি হবে না কোরবানির পশুর

মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী

ঘাটতি হবে না কোরবানির পশুর

পটুয়াখালীতে এবার কোরবানির পশুর ঘাটতি হবে না। বরং জেলায় প্রয়োজনের তুলনায় ছয় হাজার গবাদিপশু বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ইতিমধ্যে পটুয়াখালীর খামারগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারের মালিক ও শ্রমিকেরা। সরেজমিনে জেলার কয়েকটি খামার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গরু সারিবদ্ধভাবে বেঁধে পরিচর্যা করছেন খামারি ও শ্রমিকেরা।

জানা যায়, পটুয়াখালীর এসব খামারে দেশি পদ্ধতিতে পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। চাহিদার চেয়ে বেশি থাকায় পটুয়াখালীর পশু জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও বিক্রি করা সম্ভব বলে মনে করছেন খামারিরা।

পটুয়াখালীর গলাচিপার আমখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা শামীম হাওলাদার ২০১৮ সালে ফ্রিজিয়ান জাতের ১১টি গরু কিনে খামার শুরু করেন। পরে তাঁর খামারে একটি গরুর বাছুর জন্ম নিলে নাম রাখেন ‘পটুয়াখালীর রাজা’। যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করে বড় করে তোলেন। বর্তমানে ছোট্ট সেই বাছুর রাজার ওজন ২৫ মণ। তাকে কোরবানির হাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করছেন এই খামারি। দাম হাঁকছেন ৮ লাখ টাকা।

শামীম হাওলাদার বলেন, ‘এই গরুটির যখন জন্ম হয়, ভালোবেসে নাম রেখেছিলাম পটুয়াখালীর রাজা। ঈদুল আজহা এসেছে, তাই এখন এটি হাটে বিক্রি করতে চাচ্ছি। দাম বলছি ৮ লাখ টাকা।’

শামীম আহমেদের মতো ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশু মোটাতাজাকরণ শেষে হাটে ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পটুয়াখালী জেলার খামারিরা।

সদর উপজেলার খামারি কামাল হোসেন বলেন, ‘অনেকগুলো গরু মোটাতাজা করে বিক্রির উপযোগী করে তুলেছি। আমার খামারের গরুগুলো আকারে বেশ বড়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোটার ওজন ৮ মণ। দাম ২ লাখ টাকা। এর । সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন হাটে ওঠানোর পালা। আশা করি ভালো দাম পাব।’

সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের চান্দু গ্রামের মো. মাসুদ বলেন, ‘এবার কোরবানিতে বিক্রির জন্য ৮০টি গরু প্রস্তুত করেছি। তবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় পশু মোটাতাজা করতে খরচ বেশি হয়েছে আগের তুলনায়। তারপরও লাভের আশায় বিনিয়োগ করেছি। ’

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পটুয়াখালী জেলায় ৩ হাজার ৫৯৫টি খামার রয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৫টি পশুর চাহিদা ঠিক করা হয়েছে। তবে জেলায় মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০টি গরু-ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পটুয়াখালীতে চাহিদার থেকে ৬ হাজার পশু বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে পশু বিক্রির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ