Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সাড়ে চার মাসেও খোঁজ মেলেনি কলেজছাত্রের

মির্জাপুর প্রতিনিধি

সাড়ে চার মাসেও খোঁজ মেলেনি কলেজছাত্রের

তোমরা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দাও। আমার ছেলে কোথায় হারিয়ে গেল। সাড়ে চার মাস ধরে কলেজপড়ুয়া একমাত্র ছেলে মো. রনিকে ফিরে পেতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই আকুতি করছেন মির্জাপুরের ডৌহাতলী বড়চালা গ্রামের বাসিন্দা রেহেনা বেগম।

গত সোমবার সকালে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে এসেও ছেলের সন্ধান করেন তিনি। এ সময় সঙ্গে ছিলেন রনির খালা। রনি (২২) উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ডৌহাতলী বড়চালা গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। গত ১৫ জুলাই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। ১৭ জুলাই রেহেনা বেগম মির্জাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। রনির উপজেলার বাঁশতৈল খলিলুর রহমান কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা রয়েছে।

রনির মা রেহেনা বেগম জানান, ৫ বছর বয়সে রনির বাবা মারা যায়। ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে মা গোড়াই মাসাফি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। পরে এক বছর ধরে অটোব্রিকসে কাজও করছেন। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি মায়ের সঙ্গে অটোব্রিকসেও কাজ করত। গত ১৫ জুলাই রনি তার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন রাত ২টার দিকে রনির মোবাইলে ফোন দিলে সাব্বির নামের এক বন্ধু রিসিভ করে। কয়েকবার ওই নম্বরে ফোন দিয়ে রনিকে চাইলেও অপর প্রান্ত থেকে বলে, কাক্কি, আমি রনি না সাব্বির। পরের দিন সকালে সাব্বিরের বাড়িতে গিয়ে রনি কোথায় জানতে চাইলে সাব্বির বলে, আমি জানি না। তখন গ্রামের লোকজনের উপস্থিতিতে রনির নম্বরে ফোন দিলে সাব্বিরের মোবাইলে ফোন বেজে ওঠে। এরপর সবাই ধারণা করেন, দুর্বৃত্তরা রনিকে গুম করে তার ফোন নম্বর সাব্বিরের ফোনে ডাইভার্ট করা হয়েছে। তখন থেকেই রনি নিখোঁজ। জিডি গত ৭ আগস্ট মামলায় পরিণত হয়।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ রনির তিন বন্ধু বাঁশতৈল গ্রামের জামান (১৯), ডৌহাতলী বড়চালা গ্রামের সাব্বির (১৯) ও একই গ্রামের শাকিল মিয়াকে (১৯) আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। পরে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবার তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। তবে পুলিশ তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পায়নি। তিনজনই বর্তমানে জামিনে রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

রেহেনা বেগম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেন। আমার রনি মানুষের বিপদে সবসময় পাশে থেকেছে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ যে তথ্য পেয়েছিল, তা যাচাই-বাছাই চলছে। রনিকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে না আটকে রেখেছে, তা দ্রুতই উদ্‌ঘাটন করা হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ