Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বড় মঞ্চেও আলো ছড়াতে চান স্বর্ণা-দিশারা

লাইছ ত্বোহা, ঢাকা

বড় মঞ্চেও আলো ছড়াতে চান স্বর্ণা-দিশারা

দক্ষিণ আফ্রিকায় নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আরব আমিরাত। অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে হিসাবটা একটু জটিল করে ফেলেছে।

বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠতে পারবে কি না, সেটি গতকাল বলার সুযোগ ছিল না। তবে এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি তিন ক্রিকেটার। ছোটদের বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্বর্ণা আক্তার, দিশা বিশ্বাস ও মারুফা আক্তার সুযোগ পেয়েছেন বড়দের বিশ্বকাপ খেলার। আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আলো ছড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন দিশা ও স্বর্ণা। দুজনই ব্যাটিং-বোলিংয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশ দলকে। ৪ ম্যাচে ৫৭.৫০ গড়ে ১১৫ রান করে দলের ব্যাটারদের মধ্যে সবার ওপরে স্বর্ণা। আর দলকে দারুণ নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিশা।

জামালপুরের মেয়ে স্বর্ণা ১৬ বছর বয়সেই খেলতে যাচ্ছেন মেয়েদের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে। এত তাড়াতাড়ি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত এই অলরাউন্ডার। গত পরশু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফোনে আজকের পত্রিকাকে স্বর্ণা বলেছেন, ‘জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন সব ক্রিকেটারেরই থাকে। আমারও সেই স্বপ্ন ছিল। তবে এত তাড়াতাড়ি সুযোগ পাব, স্বপ্নটা এত তাড়াতাড়ি পূরণ হবে, বুঝতে পারিনি।’

যেহেতু একই দেশে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলা, কন্ডিশনও চেনা হয়ে গেছে অনেকটাই। এটা বেশ কাজে দেবে বলে জানালেন স্বর্ণা। তিনি বললেন, ‘যেহেতু একটা বিশ্বকাপ খেলতে এক মাস আগে এসেছি, অবশ্যই এখন পরিবেশটা বেশ চেনা হয়ে গেছে। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি আমরা। আশা করি, ভালো কিছু হবে।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দলের সেরা পারফরমারদের একজন স্বর্ণা। ১৪৭.৪৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি। এভাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতেই বেশি পছন্দ করেন এই অলরাউন্ডার, ‘আক্রমণাত্মক খেলতে বেশি পছন্দ করি। আবার দলের প্রয়োজনে পরিস্থিতি বুঝেও খেলার চেষ্টা করি।’ ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিন বোলিং করেন স্বর্ণা। নিজেকে একজন সেরা অলরাউন্ডারে হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই তাঁর লক্ষ্য। বললেন, ‘অবশ্যই সেরা একজন অলরাউন্ডার হওয়ার ইচ্ছা আছে। এটা আমার লক্ষ্য। নিজেকে সেভাবে তৈরি করতে হবে।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া দিশা গতকাল পর্যন্ত ৭.৮৪ ইকোনমি রেটে ৫ উইকেট নিয়েছেন পেস বোলিংয়ে। একটা বিশ্বকাপে খেলতে এসে আরেকটা বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দিশা বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছে, একটা টুর্নামেন্ট খেলতে এসে আবার বড় একটা কিছুতে সুযোগ পাওয়া। আমি চেষ্টা করব, এখানে যতটুকু করেছি, ওখানে আরও ভালো কিছু করার। সব সময় চেষ্টা করব দেশের জন্য খেলতে।’

সুপার সিক্সে আজ আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘সেমিফাইনালে ওঠার ব্যাপারে কিছু বলার নেই। যদি প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জিততে পারতাম, তাহলে হয়তো ভালো সুযোগ থাকত আমাদের। এসব নিয়ে ভাবছি না। শুধুই স্বাভাবিকভাবে শেষ ম্যাচটা খেলার চেষ্টা করব।’

১৮ বছর বয়সী দিশা নেতৃত্ব ও বোলিং—দুটিই উপভোগ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফোনে নিজের উঠে আসার গল্পও কিছুটা শোনালেন মাগুরা থেকে আসা এই নারী ক্রিকেটার, ‘ক্রিকেটার হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছি পরিবার থেকে। আমার বাবা ও দাদার কাছ থেকে বেশি সমর্থন পেয়েছি। তাঁরা বলতেন, তুমি খেলাধুলা যেহেতু পছন্দ করো, চেষ্টা করে দেখো, যদি কিছু একটা হয়ে যেতে পারো।’

‘কিছু একটা’ তো হয়েছেনই। দিশার চোখে এখন আরও বড় স্বপ্ন। আগামী মাসে সেই স্বপ্ন পূরণের বড় মঞ্চই পাচ্ছেন তিনি।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ