দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে মেহেরপুরে ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে হেরেছে নৌকার প্রার্থী। এর মধ্যে ঐতিহাসিক মুজিবনগর উপজেলার চারটি ইউপির প্রতিটিতেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সেখানে নৌকার এমন ভরাডুবির কারণ আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল। আর এই বিরোধের সুযোগ নিয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের সমর্থকেরা।
এদিকে নৌকার প্রার্থীদের অভিযোগ, বিএনপি-জামায়াতের ভোটারেরা বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীরাও দলে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে বিএনপি-জামায়াতের ভোট পুঁজি করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জয় নিশ্চিত করতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা গোপনে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অথচ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হলেও দল তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগে নেতৃত্বহীনতা এবং বিভক্তির রাজনীতি আওয়ামী লীগকে ইতিমধ্যে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে ফেলে দিয়েছে। তাই দলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক শুধু তাঁর পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় গেছেন। সব নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী সভায় যাননি।’