যশোরের চৌগাছায় ফাতেমা বেগম (৫৫) নামেন এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তিনি পেটের পীড়া ও শারীরিক অসুস্থতা সহ্য করতে না পেরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
ফাতেমা বেগম চৌগাছা সদর ইউনিয়নের দিঘলসিংহা গ্রামের তবিবর রহমানের স্ত্রী। শনিবার সকালে নিজের শোবার ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে দেখতে পান স্বজনেরা।
স্থানীয়রা জানান, ফাতেমাকে উদ্ধারের পর প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশে রওনা দেন স্বজনেরা। কিন্তু ফাতেমা মারা যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে থেকে তাঁরা বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে খবর পেয়ে থানা-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
চৌগাছা থানায় লিখিতভাবে ফাতেমার স্বামী তবিবর রহমান জানান, তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তাঁর একটি পা পুড়ে আহত এবং অন্য পা ভাঙা। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পেটের পীড়ায় ভুগছিলেন। অনেক ডাক্তার-কবিরাজ দেখানোর পরও সুস্থ হয়নি। কিছুদিন ধরে অমার স্ত্রী শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ ছিল। আমি সকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে গ্রামের মাঠে পটোলের খেতে ফুল ছোঁয়াতে যাই। আমার স্ত্রী একা বাড়িতে ছিল। সে তাঁর পেটের ব্যথা ও শারীরিক অসুস্থতা সহ্য করতে না পেরে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ঘরের আড়ায় নিজের ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়।’
চৌগাছা থানা-পুলিশ দিঘলসিংহা গ্রামে গিয়ে লাশটি হেফাজতে নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রোববার তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে, কীভাবে তিনি মারা গেছেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’