Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

রোগীর চিকিৎসা মেঝে-বারান্দায়

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

রোগীর চিকিৎসা মেঝে-বারান্দায়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও নারীই বেশি। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় তাঁরা চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায়। অত্যধিক গরম ও মশার কারণে মেঝেতে থাকা রোগীরা রয়েছে বাড়তি ভোগান্তিতে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে প্রতিদিন ২০-৩০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যার সংখ্যা ১২। তবে কয়েক দিন ধরে শয্যার তুলনায় তিন-পাঁচ গুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই রোগীদের মেঝেতে ও বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সুপারভাইজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নুসেফাত বেগম বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যার সময় ২৯ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে গত বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ জন নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ২৮ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন দিনমজুর এহসান হাবীব (৩২)। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেরই ডায়রিয়া হয়েছে। পরে গত বুধবার রাত ৩টার দিকে দুজনেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমি জায়গা পেলেও আমার স্ত্রী মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

নাচোলের সুলেখা খাতুন তাঁর মেয়ে মুন্নি খাতুনকে (৮) নিয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুলেখা বলেন, গত শনিবার থেকে তাঁর মেয়ের ডায়রিয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসা ভালোই চলছে। তবে বারান্দায় অত্যধিক গরম ও মশার যন্ত্রণা। এখানে একটা ফ্যান দিলে ভালো হয়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ মাহফুজ রায়হান বলেন, অত্যধিক গরমের কারণে এই সময়ে শিশুরা ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়। প্রত্যেক বছরের এই সময়ে এটা হয়ে থাকে। অত্যধিক গরমে ঘেমে যাওয়ার কারণে শিশুদের ডায়রিয়া হয়। এ কারণেই গত কয়েক দিন ধরে জেলা হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

মাহফুজ রায়হান আরও বলেন, এই সময়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং শিশুদের নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গরমের কারণে খুব দ্রুত খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই এসব খাবার শিশুদের দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া দেখা যাচ্ছে, শিশুরা অসুস্থ হলেই তাঁদের অভিভাবকেরা ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে এসে খাওয়ান। অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে নিয়ে আসেন। কোনোমতেই এটি করা যাবে না। শুধু মাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়াতে হবে শিশুদের।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শাহনাজ সুলতানা বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার পেছনে সুনির্দিষ্ট কারণ না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে হতে পারে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ, স্যালাইন ও চিকিৎসাসামগ্রী রয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা নেই।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ