বেশি লাভের আশায় খামারে পালন করা ব্রয়লার, লেয়ার, পাকিস্তানি ও টাইগার মুরগিতে এখন দেশের বাজারগুলো সয়লাব। ফলে দেশি মুরগি বাজারে মেলে কমই। কিন্তু দেশি মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আগৈলঝাড়া উপজেলার দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের বেকার যুবক শাওন শরীফ।
গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের ইদ্রিস শরীফের ছেলে শাওন শরীফ (৩২) জানান, এক বছর আগে বিশ হাজার টাকা নিয়ে দেশি মুরগির খামার শুরু করেন। প্রথম ২০ হাজার টাকা দিয়ে কেনা বাচ্চাগুলো তিন মাস লালন-পালন করে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। শাওন শরীফ বলেন, ‘ব্রয়লার, সোনালি ও কক মুরগি পালনের চেয়ে দেশি মুরগি পালন সাশ্রয়ী। কারণ দেশি মুরগিগুলো আমাদের আবহাওয়ায় সহজে খাপ খাওয়াতে পারে। তাই খামারিদের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। বাজার থেকে গম, চালের খুঁত, ভুট্টা গুঁড়াসহ কয়েক ধরনের উপকরণের মিশ্র খাবার তৈরি করে খাওয়ানো হয়। ছোট-বড় মিলিয়ে ৩ শতাধিক মুরগি রয়েছে আমার।’
দেশি মুরগি ও ডিমের চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিদিনই স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ক্রেতারা শাওন শরীফের খামার থেকে মুরগি কিনতে আসেন। তাঁর খামারের ডিম থেকে ফুটানো ১ মাস বয়সী এক জোড়া মুরগির বাচ্চা ৩০০ টাকা ও ৩ মাস বয়সী এক জোড়া মুরগির বাচ্চা ৭০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
খামারি শাওন শরীফ জানান, এ জাতের মুরগি ডিম বেশি দেয়, মাংস বেশি হয় এবং মাংস অন্য মুরগির চেয়ে সুস্বাদু। এসব বিবেচনায় উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এখন দেশি মুরগি পালন করা হচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে খামার বড় করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্ম উদ্যোগী ও বেকারত্ব লাঘবের ইচ্ছা আছে তাঁর।
জানা যায়, উন্নত জাতের দেশি মুরগি পালনে বাচ্চাগুলো ৩-৪ মাস বয়সে ডিম দেওয়া শুরু করে। প্রতিটি মুরগি বছরে ২০০-২৫০টি ডিম দেয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশুতোষ রায় বলেন, দেশি মুরগি প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করে বলে সংক্রমণ হয় কম।