আগৈলঝাড়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছেন। সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরেও প্রতিদিন ১৫-২০ জন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
গত মঙ্গল ও বুধবার দুই দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলার গৈলা গ্রামের খোকন হাওলাদারের দুই মাসের ছেলে রমিন, রাজিহার গ্রামের শরীফ ফকিরের দুই মাসের ছেলে আরিয়ান, বাশাইল গ্রামের রনজিত মজুমদারের তেরো মাসের ছেলে রাহুল, বাকাল গ্রামের হারুন ফকিরের দশ মাসের মেয়ে হাবিবা খানম, দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের সুজন সরদারের এক বছরের ছেলে আউয়াল, কারফা গ্রামের অভিনাশ বাড়ৈর নয় মাসের ছেলে ঈষান ও পূর্বসুজনকাঠি গ্রামের জয়দেব দাসের সাত মাসের ছেলে বর্নিল দাস ভর্তি হয়েছে।
এ ছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নাঠৈ গ্রামের নিলুফা বেগম (৪৫), চাঁদত্রিশিরা গ্রামের আব্দুল গনি (৭০), ওটরা গ্রামের তেরো মাস বয়সের আয়ান হোসেন, বাকাল গ্রামের মুরাদ হোসেন (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমন রোগের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকায় রোগীর সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।