তিতাস উপজেলায় সরিষাখেতে মৌ-বাক্স স্থাপন করে দিচ্ছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষকদের মধু চাষে উদ্বুদ্ধ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে সরিষার পাশাপাশি মধু থেকে কৃষকেরা বাড়তি আয় করতে পারবেন। এ ছাড়া মৌমাছি সরিষার পরাগায়নে সহায়তা করে। এতে সরিষার উৎপাদন বাড়বে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তিতাস উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় উভয় জাতের সরিষা কৃষকেরা চাষ করেছেন। দুই জাতের সরিষা আবাদ প্রক্রিয়া নভেম্বরের শুরু থেকে শুরু হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে সময় লাগে জাতভেদে ৭০ থেকে ৯০ দিন। বর্তমানে এসব খেত হলুদ ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে। আর মধু চাষের জন্য এই ফুলের ভান্ডারই প্রয়োজন।
উপজেলার ওইচারচর গ্রামের সরিষা চাষি সাত্তার বলেন, ‘আমি প্রতিবছর সরিষা চাষ করি। কিন্তু সরিষা খেতে কীভাবে মধু চাষ করে তা জানি না। তবে এ বছর কৃষি অফিস আমার জমিতে একটি মৌমাছির বাক্স স্থাপন করেছে। আমাকেও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আশা করি, সরিষার ফলন বাড়বে। পাশাপাশি মধুও সংগ্রহ করতে পারব।’
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরিষা খেতে মধু চাষ করলে সাধারণ উৎপাদন থেকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদন বাড়ে। কারণ, সরিষার ফুলে মৌমাছি পরাগায়ন ঘটায়। এতে সরিষার দানা বেশি হয়। আকারেও বাড়ে। এতে চাষিরা লাভবান হন দ্বিগুণ। তাই চাষিদের মধু চাষ উদ্বুদ্ধ করতে এ বছর বিভিন্ন জমিতে আটটি বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি, এ চাষ দেখে আগামী বছর অনেকেই এগিয়ে আসবেন।’