কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিনে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, পরিবেশ দূষণ, যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণসহ পরিবেশবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড ঘটছে। এই কারণে প্রবাল দ্বীপটির পরিবেশ-প্রতিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। সম্প্রতি দ্বীপের সুরক্ষায় সরকার সেন্ট মার্টিনকে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া (এমপিএ) ঘোষণা করে। এরপর দ্বীপটির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে ১৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এসব কার্যকর করতে সরকারের কয়েকটি দপ্তর একযোগে কাজ শুরু করেছে। গত দুই মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ নিয়ে একাধিক সভা ও মতবিনিময় করে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার চেষ্টা করছে।
গত শুক্রবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সেন্ট মার্টিন গিয়ে ১৩ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি যেকোনো মূল্যে তা কার্যকরে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে সেন্ট মার্টিন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় কেন্দ্রে মতবিনিময় সভা হয়। এতে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট বোর্ডের প্রধান জাবেদ আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘সেন্ট মার্টিন দেশের সম্পদ। এ দ্বীপ বিশ্বের কাছে পরিচিত। এ জন্য দ্বীপের প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
প্রবাল দ্বীপের প্রকৃতি ধ্বংসের পথে উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান, সেন্ট মার্টিনে আর কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। দ্বীপকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ চলছে। এতে দ্বীপবাসীর জীবনমান বদলে যাবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনায় দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। সুপারিশগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ করছে।’
৪ জানুয়ারি আট বর্গকিলোমিটারের সেন্ট মার্টিন ও সংলগ্ন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন বঙ্গোপসাগরের ৭০ মিটার গভীর সমুদ্রের ১ হাজার ৭৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া (এমপিএ) ঘোষণা করা হয়েছে।