কেশবপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন।
একই সঙ্গে দরিদ্র পরিবারের ওই মেয়েটির পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছেন ইউএনও। গতকাল বৃহস্পতিবার মজিদপুর ইউনিয়নে দুপুরে নবম শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছিল।
মেয়েটির বাবা বেঁচে না থাকায় সংসারে আর্থিক অনাটনের কারণে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারিভাবে কন্যা শিশু দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে ইউএনও এম এম আরাফাত হোসেনের কাছে খবর আসে ওই বাল্যবিবাহের। তিনি অনুষ্ঠান শেষ করে দ্রুত হাজির হন সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে। এ সময় তিনি উপস্থিত সবাইকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবগত করেন।
এ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে মেয়ের মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে ওই ছাত্রীর পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। মেয়েটির বাবা বেঁচে নেই। মেয়েটির মাকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।