Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চার লেনে বেড়েছে ভোগান্তি

ধনবাড়ী প্রতিনিধি

চার লেনে বেড়েছে ভোগান্তি

টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়ক যানজটমুক্ত করতে ও চলাচলের সুবিধার্থে চার লেনে উন্নীত করা হয়। আর এই মহাসড়ক চার লেন হওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। প্রতিনিয়তই নাজেহাল হতে হচ্ছে ধনবাড়ী উপজেলাবাসীকে। এতে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও ব্যবসায়ীরা। ভোগান্তি দূর না হওয়ায় চলাচলকারীরা ক্ষুব্ধ। তবে ভোগান্তি নিরসনে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, যখন বাসস্ট্যান্ডটি দুই লেনের ছিল তখন কোনো যানজট ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হয়। এতে বরং বেড়েছে ভোগান্তি। যানজট নিরসনেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ।

ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখানে নির্ধারিত কোনো বাস টার্মিনাল না থাকায় যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, লরি, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন যত্রতত্র রেখে চার লেনের সড়কের তিন লেনই দখল করে রাখা হয়েছে। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এ সময় জরুরি সেবার গাড়ি, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা যানজটে পড়ছেন। সড়কের দুই পাশে ব্যবসায়ীদের দোকানের সামনে রাখা হয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস। এতে দোকানে আসতে পারছেন না ক্রেতারা। কোনো প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় বেপরোয়া গতিতেই চলছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।

শিক্ষার্থী কেয়া আক্তার ও মো. রহিম মিয়া বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। কিন্তু যানজটের কারণে সময়মতো যেতে পারি না। গাড়িগুলো যেভাবে দ্রুত গতিতে আসে, তখন অনেক ভয় লাগে রাস্তা পার হতে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

মেসার্স বাংলাদেশ লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী মো. রুকনুজ্জামান রুবেল বলেন, ‘আমার দোকানের সামনে যত্রতত্র রাখা হয়েছে বাস-ট্রাক। এতে দোকানে ক্রেতা আসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ক্রেতা দিনদিন কমছে।’

লোভা-মুক্ত পেপার হাউসের মালিক মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘এভাবে গাড়ি রাখায় আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।’

কালাম স্টোরের মালিক আবুল কালাম বলেন, ‘এলোমেলোভাবে দোকানের সামনে সড়কের ওপর বিভিন্ন যানবাহন রাখায় আমাদের দোকান দেখা যায় না। ফলে ক্রেতাসাধারণ পণ্য কিনতে দোকানে আসতে পারছেন না। এতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।’

পথচারী মো. আবির হোসেন বলেন, ‘এই যানজট আমাদের নাজেহাল করে দিচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড এলাকাটি মনে হয় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার টার্মিনাল। আমরা এ ভোগান্তি থেকে রেহাই চাই।’

ধনবাড়ী পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, ‘যানজটমুক্ত করতে ও ভোগান্তি নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবাধে যানবাহন না রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সামিউল হক বলেন, বিষয়টি মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ