এএফপি, রাফাহ
‘চিড়িয়াখানায় খাবার নেই। এতে বেশ কিছু প্রাণী মারা গেছে। সিংহী শাবক জন্ম দিয়েছে। কিন্তু আমরা খাবার সরবরাহ করতে পারিনি।
ফলে সেগুলোও মারা গেছে। একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বানর ও পাখির ক্ষেত্রেও।’ কথাগুলো ফিলিস্তিনের গাজার রাফাহ চিড়িয়াখানার মালিক আহমেদ জুমার। চলমান যুদ্ধে উপত্যকার প্রাণীর ওপর কী প্রভাব পড়েছে, সে কথাই এএফপিকে বলছিলেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, খাঁচার ভেতর ঝিমাচ্ছে ক্ষুধার্ত প্রাণীরা, যাদের শরীরে খাদ্যঘাটতির প্রভাব স্পষ্ট।
আক্ষেপ করে জুমা বলেন, এখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ। খাবার, পানি কিংবা ওষুধ কিছুই নেই। শুকনো রুটিতে পানি ভিজিয়ে পশু-পাখিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। কোনো জায়গায় খাবার পেলে পশুদের জন্য আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পরপরই চিড়িয়াখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে বাঁচতে সেখানে আশ্রয় নেয় বাস্তুচ্যুত কয়েকটি পরিবার। পশুদের খাঁচার মধ্যে যে ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে অস্থায়ী তাঁবু গেড়েছে তারা। এমনই একটি তাঁবুর পাশের খাঁচায় ধীর পায়ে হাঁটতে দেখা গেল একটি দুর্বল সিংহকে। খাদ্যের অভাবে সিংহটির বুকের হাড়গুলো দেখা যাচ্ছিল।
যুদ্ধের শুরুর দিকে অবস্থা এতটা ভয়াবহ ছিল না। দিন দিন পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে বলে দাবি করেন জুমা। তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে গাজায় মাংসসহ অন্য পশুখাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এসব পশুর জন্য প্রাণীকল্যাণ সংস্থার ত্রাণসহায়তাকেই শেষ ভরসা হিসেবে দেখা হচ্ছে।