ধোবাউড়া উপজেলার অধিকাংশ স্কুলে (প্রাথমিক বিদ্যালয়) নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। অনেক বিদ্যালয়ে নলকূপ থাকলেও নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। শিশু শিক্ষার্থীরা তৃষ্ণা মেটাতে বিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে পানি পান করে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজারেরও অধিক। এর মধ্যে ৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপজেলার প্রায় ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নলকূপ থাকলেও কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
চন্ডিরকান্দা গ্রামের এক অভিভাবক রইস উদ্দিন বলেন, ‘এখন গরমের সময়। বাচ্চারা হেঁটেই স্কুলে যায়। ফলে পিপাসা লাগায় পাশের বাড়ি থেকে পানি এনে পান করে। দীর্ঘদিন নলকূপ নষ্ট থাকার পরও কেউ সংস্কার করছে না।’
একই গ্রামের রমজান আলী বলেন, ‘পাশের বাড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের হাতে বালতি ধরিয়ে দেন। এতে শিশুরা মানসিক চাপে ভোগে।’
দিঘীরপাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘টিউবওয়েল মেরামত করলে এক সপ্তাহ যায়। আবার নষ্ট হয়ে যায়।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জহির উদ্দিন বলেন, ‘মাঝে মধ্যে বিদ্যালয়ের এমন অনেক সমস্যা আমাকে বলার পর কিছু কিছু সমাধান করে দিয়েছি। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়টি চিন্তা করে পানির সমস্যা সমাধানে কাজ করব।’