যশোরের শার্শায় নিখোঁজের এক দিন পর বেতনা নদী থেকে নাসির মোল্লা (৪৮) নামের এক চাল ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নারায়ণপুর গ্রাম সংলগ্ন বেতনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পৈতৃক সূত্রে নিহত নাসির মোল্লার বাড়ি বরিশালের জেলার কেউতা গ্রামে। তবে তিনি স্ত্রী তিন সন্তানকে নিয়ে শার্শা উপজেলার বৃত্তি বারিপোতা গ্রামে বাস করতেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হন নাসির মোল্লা। এ সময় তাঁর পরিবার সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নিলেও কোনো সন্ধান না পেয়ে প্রশাসনের শরণাপন্ন হন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত ব্যক্তি স্থানীয় নারায়ণপুর বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চালের ব্যবসা করে আসছিলেন। শুক্রবার সকালে নাসির উদ্দীন বেতনা নদী থেকে কচুরিপানা তোলার কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি পানিতে ডুবে যান। তারপর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রশাসনসহ বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে বিষয়টি জানালে গতকাল সকালে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। একপর্যায়ে ডুবে যাওয়া স্থান থেকে ১০০ গজ দূরে কচুরিপানার নিচ থেকে নাসিরের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দলের সাব অফিসার মোশাররফ হোসেন, টিম লিডার সাইদুল ইসলামসহ বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বেনাপোল স্টেশন কর্মকর্তা রতন কুমার দেবনাথ বলেন, ‘শুক্রবার বেতনা নদীতে এক ব্যক্তি ডুবে গেছে এমন খবর পেয়ে সন্ধ্যায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গতকাল বিষয়টি খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে জানানো হয়। পরে তাঁদের সমন্বয়ে ২৫ মিনিট তল্লাশি করে মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হই। মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পানিতে ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’