Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মহাসড়ক ঘেঁষে বালুর স্তূপ

এনামুল হক, ফুলপুর

মহাসড়ক ঘেঁষে বালুর স্তূপ

মহাসড়কের পাশে বালুর স্তূপ। সাদা ও লাল রঙের বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে সেখানে। বালুর স্তূপগুলো মূল সড়ক পর্যন্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ফলে সাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোরিকশাসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। ঢাকা-হালুয়াঘাট মহাসড়কের ফুলপুর উপজেলা পরিষদের সামনের অংশে এমন চিত্রের দেখা মেলে। স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা এই অবস্থার সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-হালুয়াঘাট মহাসড়কের পাশে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের সামনে অসংখ্য সাদা ও লাল বালুর স্তূপ। এসব বালু আশপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। প্রায় প্রতিদিন ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনে করে বালু সড়কের পাশে নামানো হচ্ছে। আবার বালু বিক্রি হলে সেগুলো ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনে ওঠানো হচ্ছে।

ফুলপুর পৌরসভা এলাকার মোটরসাইকেল আরোহী মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাস্তার পাশে বালুর স্তূপ থাকায় আমরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। এগুলো সরানো না হলে যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।’

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তার পাশে এভাবে বালু স্তূপ করে রাখায় এবং বালু নামানো-ওঠানোর ফলে মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।

পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সড়কের পাশে বালুর স্তূপ থাকায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাস্তার পাশ দিয়ে চলাচল করতে পারছে না। ফলে তারা ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করছে।

মাটি, সৃষ্টি ও রফিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, সড়কের ওপর বালুর স্তূপ থাকায় তারা ভালোভাবে হেঁটে চলাফেরা করতে পারছে না। দ্রুত এসব বালুর স্তূপ অপসারণ করে চলাচলের পথ সুগম করার দাবি তাদের।

পৌর এলাকার বাসিন্দা দিদার, সাইদুলসহ কয়েকজন বলেন, মহাসড়কের পাশে উপজেলা পরিষদের সামনে গত কয়েক বছর ধরেই বালুর ব্যবসা শুরু হয়েছে। দিনদিন তা আরও বাড়ছে। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বালু ব্যবসায়ী জানান, তাঁরা এসব বালু নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরীসহ স্থানীয় নদ-নদী থেকে সংগ্রহ করেন। পরে বিক্রির জন্য সড়কের পাশের স্তূপ করে রাখেন। এই বালু স্থানীয়ভাবে প্রতিদিনই বিক্রি হয়। এভাবে বালু ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও ভোগান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঝুঁকি তো আছেই। কী করব? কোথাও জায়গা না পেয়ে এভাবে স্তূপাকারে রাস্তার পাশে রাখা হয়। তা ছাড়া রাস্তার পাশে রাখলে আমাদের পরিবহন খরচও কম হয়।’

এ বিষয়ে ফুলপুর পৌর মেয়র শশধর সেন বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলতে পারবেন। আমি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করব না।’

ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শীতেশ চন্দ্র সরকার বলেন, বালুর স্তূপ সরানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না সরালে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ