আগৈলঝাড়ায় কেতনার বিল বধ্যভূমিতে পাওয়া শহীদের দেহের হাড় জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের কেতনার বিল গ্রামের মৃত দেবেন্দ্র নাথ পাত্র’র স্ত্রী মায়া পাত্র গণহত্যা-নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের হাড় খুলনা গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরে দান করেন। খুলনা গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল হক ও গবেষক লুলু আর মারজান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের হাড় গ্রহণ করেন।
স্থানীয়রা জানান, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য কেতনার বিলে যখন মানুষ যাচ্ছিল তখন পাকিস্তানি সেনারা শত শত মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। এখনো বিভিন্ন সময় মাটি কাটতে গিয়ে প্রায়ই পাওয়া যায় মানুষের হাড়। বেশ কিছু দিন আগে ওই জমি থেকে মাটি আনতে গিয়ে ওই হাড়টি পান তাঁরা। এরপর থেকেই তাঁদের কাছে রেখে দেন হাড়গুলো। তবে যথাযথভাবে সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে বেশ কিছু হাড়।
খুলনা গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা-নির্যাতন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে জানতে পারি ৫০ বছরের পুরোনো মানব দেহের হাড়গুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত হয়। গণহত্যা-নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ এই হাড়টি জাদুঘরে আগৈলঝাড়ার কেতনার বিলের গণহত্যার নামেই সংরক্ষণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৫ মে পাকিস্তানি বাহিনী রাজিহার ইউনিয়নের কেতনার বিলে আশ্রয় নেওয়া মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। মূহুর্তে কেতনার বিলে লাশের স্তুপ তৈরি হয়। এরপর সেখানেই মাটিচাপা পড়ে লাশগুলো।