বাসার সিন্দুক থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি হয়েছে ব্যবসায়ী আবদুল হামিদের। এ ঘটনায় রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন তিনি। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, বাইরের কেউ নয়, ব্যবসায়ীর মেয়ে মিনা হামিদই চুরি করেছেন টাকা। সেই টাকা দিয়েছেন নিজের পছন্দে বিয়ে করা স্বামীকে।
মামলা দায়ের করার চার দিন পর পুলিশ চুরির সঙ্গে জড়িত মিনাকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁর স্বামী সাকিবুল হাসানকেও গ্রেপ্তার এবং তাঁর কাছ থেকে চুরির ৯০ লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল শনিবার বিকেলে আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানান মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা। তিনি বলেন, বাসার দরজা কিংবা সিন্দুকের তালা না ভেঙেই টাকা চুরি হয়েছে। এতে সন্দেহ হয় বাসার কোনো লোক টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, হামিদের মেয়ে মিনা টাকা চুরি করেছেন। তাঁর কাছে থাকা চাবি দিয়ে তিনি সিন্দুক খুলে টাকা নেন।
ওসি জানান, গত ৪ জুলাই হামিদ মেয়ে মিনাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চুরির মামলা করেন। এ ঘটনায় ৮ জুলাই গ্রেপ্তার করে মেয়ে মিনা হামিদ ও মেয়ের জামাই সাকিবুল হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ ওরফে বাবুল। ঈদুল আজহায় সপরিবারে গ্রামের বাড়ি ঈদ উদ্যাপন শেষে ঢাকায় ফেরেন। কিছুদিন পর টাকা রাখার সিন্দুক খুলে দেখতে পান ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা নেই। বাসায় সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেনি কেউ। পরে হামিদ ৪ জুলাই মেয়ে মিনাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চুরির মামলা করেন। পুলিশ বাসায় গিয়ে সিন্দুক না ভেঙে টাকা চুরি হওয়ায় প্রাথমিকভাবে বাসার মানুষদের সন্দেহ করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মেয়ে মিনা চুরির কথা স্বীকার করেন। সেই টাকা তিনি স্বামী সাকিবুল হাসানকে দেন বলেও জানান।