Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সড়কহীন সেতুর পাড়ে দীর্ঘশ্বাস

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

সড়কহীন সেতুর পাড়ে দীর্ঘশ্বাস

সেতু নির্মাণের দুই বছর পেরোলেও তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক। সেতুটি কোনো কাজে আসছে না পাঁচ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের। অনেকে সময় বাঁচানোর জন্য বাঁশ বেয়ে সেতুতে উঠে পার হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশ নদের দুই পারের মানুষ। সেতুটির অবস্থান লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুড়াকুঠি গ্রামে।

নীয় অভিযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সংযোগ সড়ক তৈরি করে দেওয়ার কথা থাকলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোগলহাট ইউনিয়নের দুড়াকুঠি গ্রামে রতনাই নদের ওপর সেতুর কাজ শুরু হয়। সেতুর কাজ পান কুড়িগ্রাম কলেজ রোডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুরমা অ্যান্ড আবু বক্কর জেভি। ১২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ছিল ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক এখনো নির্মিত হয়নি। ফলে এটি কোনো কাজে আসছে না দুই পারের বাসিন্দাদের। তবে সময় বাঁচানোর জন্য অনেকে সেতুর সঙ্গে বাঁশ বেয়ে উঠে চলাচল করছেন। এতে অনেক সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।

সেতুটির এক পাশে দুড়াকুঠি গ্রামে রয়েছে হাটবাজার, কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভূমি কার্যালয়। অপর পাশে মেঘারাম গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক। উভয় পাশের মানুষের কাজকর্মের সহজ যোগাযোগের জন্য রতনাই নদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজে আসছে না এটি। সংযোগ সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছে নদের দুই পারের লক্ষাধিক মানুষ।

দুরাকুঠি গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন ও শিক্ষার্থী আকলিমা খাতুন বলেন, ‘সেতুটি পারাপারের জন্য সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষাকালে আমরা ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) যাই। এতে আমাদের অর্থ ও সময় অপচয় হচ্ছে। বিদ্যালয় যেতেও সমস্যা হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম মাস্টার বলেন, ‘এখন শুকনো মৌসুম থাকায় আমরা হেঁটে চলাচল করতে পারছি। কিন্তু বর্ষাকালে সেতুর নিচে পানি থাকায় পারাপারের সুযোগ থাকে না। রতনাই সেতুর পশ্চিম দিকে দুরাকুটি, কর্ণপুর ও ফুলগাছ গ্রামের লোকজনের বসবাস। পূর্ব দিকে আছে মেঘারাম, ইটাপোতা, বুমকা ও খারুয়া গ্রামের লোকজনের বসবাস।’

মোগলহাট ইউপির চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন এর দুই পাশের সংযোগ সড়ক তৈরি না করায় আমার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের ইউনিয়ন পরিষদ, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত সেতুর সংযোগ সড়ক করার দাবি জানাচ্ছি।’

লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মন্জুর কাদের এলাহী বলেন, ‘সেতুটি আগের দায়িত্বরত নির্বাহী প্রকৌশলী করে গেছেন। আমি নতুন বদলি হয়ে এসেছি। তবে সংযোগ সড়ক তৈরির জন্য চেষ্টা করছি। যেহেতু ঠিকাদারকে সম্পূর্ণ বিল দেওয়া হয়নি। তাই সেখানকার টাকা দিয়ে সড়কের কাজ করা হবে।’ 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ