Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বারবার কেন আগুন

খান রফিক, বরিশাল

বারবার কেন আগুন

দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সিসিইউতে গত মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় রমনী দাস (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। তবে তিনি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাননি। ভয় পেয়ে মারা গেছেন বলে স্বজনদের অভিযোগ থাকলেও হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি ছুটোছুটির সময় আগে থেকেই অসুস্থ রমনী দাসের মৃত্যু হয়েছে।

গত ৫ বছরে শেবাচিম হাসপাতাল, কলেজ এবং করোনা ওয়ার্ডে একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতার আগে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটির বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা এবং যন্ত্রপাতি মান্ধাতা আমলের। বেডের বিপরীতে ৩ গুন রোগী থাকছেন। এখানে একের পর এক ঘটছে অগ্নিকাণ্ড।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেবাচিম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সিসিইউতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল। ওয়ার্ডের দেয়ালে থাকা বিদ্যুতের সংযোগ থেকে আকস্মিকভাবে ধোঁয়া ছড়াতে দেখতে পান সেখানে থাকা রোগীর স্বজন ও সেবিকারা। ধোঁয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে সবাই আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। ওই সময় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে রোগীদের সরিয়ে পাশের পোস্ট সিসিইউ কক্ষে স্থানান্তর করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ২২ জুন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আগুন লেগেছিল। ২০১৮ সালের ৯ জুলাই আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডে দুই রোগী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০১৭ সালের ১৫ জুন মেডিকেল কলেজের ছাত্রী নিবাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালের তড়িৎ যন্ত্রিক বিভাগের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম বলেন, সিসিইউ এর এয়ার ভেকুয়ম অথবা বেড হেড ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তিনি শুনেছেন মোবাইলে চার্জ দেওয়ার সময় ওই ওয়ার্ডের চিকিৎসা সরঞ্জাম বিস্ফোরিত হয়েছে। বাড়তি রোগী ও স্বজনের চাপ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম পুরোনো হয়ে যাওয়ায় এমনটা ঘটতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

গতকাল শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউ বিভাগে গেলে দায়িত্বরত সেবিকারা বলেন, সিসিইউতে বেড রয়েছে ১৬টি। কিন্তু সবশেষ রোগী ছিলেন ৫০ জনের বেশি। সিসিইউ’র এক রোগীর ছেলে সত্যজিৎ মন্ডল বলেন, যে রোগী মারা গেছেন তাঁর অবস্থা ভালো ছিল।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, সিসিইউতে হঠাৎ শর্টসার্কিট সার্কিটে আগুন লেগে যায়। অক্সিজেন সংযোগে কোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটেনি। রোগীদের হুড়োহুড়ির সময়ে আগে থেকেই অসুস্থ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তা আতঙ্কে বলে মনে হয় না। এ ঘটনায় কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা জাকির হোসেনকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন বলেন, রাতে তাঁরা অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসকে বলা হয়েছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বরিশাল শাখার সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, হাসপাতাল হলো নিরাপত্তা ও চিকিৎসা পাওয়ার জায়গা।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ