Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বাড়ছে করোনা, ঠান্ডার রোগী

আজিজুর রহমান, চৌগাছা

বাড়ছে করোনা, ঠান্ডার রোগী

চৌগাছার ঘরে ঘরে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া-জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। সেই সঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার সংক্রমণ। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বেশির ভাগ রোগীর শরীরে করোনার উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা কম হওয়ায় প্রকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা নির্ণয় করা যাচ্ছে না।

গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে বাথানগাছি গ্রামের ৯ দিন বয়সী শিশু হাবিব নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে চৌগাছা সদর ইউনিয়নের কয়ারপাড়া গ্রামের ১৭ মাস বয়সী তাসিন আহমেদ। একই গ্রামের ২ বছর বয়সী রুহান ও ১৩ বছর বয়সী সাহেব আলী, বাথানগাছি গ্রামের ২ বছর ছয় মাস বয়সী ইলমি, পৌরসভার পাঁচনমনা গ্রামের দেড় বছর বয়সী শিশু শিশির ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন পৌরসভার মাঠপাড়া গ্রামের সোহাগ হোসেন (১৯)। নারী ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ১০ জন। গতকাল এ নারীদের মধ্যে জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া ৩ জনের র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ২ নারীর করোনা শনাক্ত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গতকাল হাসপাতালে প্রসূতি ছাড়াও বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৪৭ জন। গত শুক্রবার ১৩ শিশুসহ ৪৪ জন ভর্তি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ভর্তি ছিলেন ১৩ শিশুসহ ৪৯ জন। গত বুধবার ৮ শিশুসহ ৪৫ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ১৮ জানুয়ারি ভর্তি ছিলেন ১২ নারী ও ৮ শিশুসহ ৪০ জন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, ভর্তি হওয়া এসব রোগীর অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত।

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত ও করোনা উপসর্গের রোগীআরও জানা গেছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে আরটিপিসিআর পরীক্ষায় গত বৃহস্পতিবার ২ জনের এবং শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ চিকিৎসক আরিফুল ইসলাম, মো. রবিউল ইসলামসহ চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে অপারেটর জাহাঙ্গীর আলমসহ হাসপাতালে ভর্তি ২ নারী রোগীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

এদিকে পুরো উপজেলায় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও করোনা পরীক্ষার ভয়ে অধিকাংশ মানুষই হাসপাতালে না এসে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক বলেন, ‘আমার পরিবারে স্ত্রী, মেয়েসহ ৪ জন সদস্য রয়েছেন। গত কয়েক দিনে সবারই জ্বরসহ ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। আমরা স্থানীয় চিকিৎসকের (গ্রাম্য চিকিৎসক) পরামর্শে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, তাঁদের জ্বর এসেছিল। তবে এক-দুদিন থেকেছে। তবে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়েছে তাঁদের। হাসপাতালে গেলেই করোনার পরীক্ষা দেওয়ায় সেখানে না গিয়ে স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ খেয়েই সেরে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোছা. লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘ঘরে ঘরে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগের উপসর্গ দেখে ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে, অথচ অবস্থা একেবারে খারাপ না হলে কেউ হাসপাতালে আসছেন না। হাসপাতালে আসার পর করোনা পরীক্ষা দিলেও অনেকেই পরীক্ষা করাতে চাচ্ছেন না। এ জন্য প্রকৃত রোগী সংখ্যা নিরূপণ করা যাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘করোনার নতুন এ ভ্যারিয়েন্টে শ্বাসকষ্টসহ বেশি অসুস্থ না হওয়ায় বেশির ভাগই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা টিকা নেওয়ার জন্য নানাভাবে মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। তবে সেভাবে সাড়া পাচ্ছি না।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ