১৯ ডিসেম্বর ভারতের পাঞ্জাবের কাপুরথালা জেলার নিজামপুর গ্রামের একটি গুরুদুয়ারার (শিখদের উপাসনালয়) নিশানে সাহিব বা শিখদের পতাকা সরানোর অপরাধে এক ব্যক্তিকে পুলিশের উপস্থিতিতে গণপিটুনিতে খুন করা হয়। এই ঘটনায় ওই গুরুদুয়ারার তত্ত্বাবধায়ক অমরজিৎ সিংকে গতকাল গ্রেপ্তার এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছে স্থানীয় পুলিশ।
মামলা ও অমরজিৎকে গ্রেপ্তারের আগে রাজ্যটির কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি বলেন, ‘কাপুরথালার ঘটনায় ধর্ম অবমাননার (স্যাকরিলিজ) কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। এফআইআর সংশোধন করা হবে।’
পুলিশ ও ময়নাতদন্ত সূত্রে এনডিটিভি জানায়, নিহত ব্যক্তির শরীরের ৩০ জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ছুরির এলোপাতাড়ি আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধর্ম অবমাননা নয়, বরং চুরির উদ্দেশ্যে পরিচয়হীন ওই ব্যক্তির নিশানে সাহিব সরানোর সম্ভাবনা বেশি।
কাপুরথালার ঘটনার এক দিন আগে একই রাজ্যের অমৃতসর শহরের শিখদের বিখ্যাত গুরুদুয়ারা গোল্ডেন টেম্পলেও এক ব্যক্তি গণপিটুনিতে নিহত হন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে ওই ব্যক্তি হঠাৎ রেলিং টপকে শিখদের পবিত্র গ্রন্থ ‘গুরু গ্রন্থ সাহিবের’ সামনে রাখা একটি তলোয়ার হাতে নেন।
উপস্থিত ভক্তরা তাৎক্ষণিক তাঁকে ধরে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনো খুনের কোনো মামলা করেনি পুলিশ।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যটির লুধিয়ানা জেলার একটি আদালতে বোমা হামলায় একজন নিহত ও ৫ জন আহত হন। শিখ অধ্যুষিত স্পর্শকাতর পাঞ্জাবের আগামী ফেব্রুয়ারির বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে এসব ঘটনার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।