‘ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে কবিতার মাধ্যমে জাগিয়ে তুলেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি তাঁর সাহিত্যে এ দেশের নিপীড়িত, শোষিত, নিষ্পেষিত মানুষের মুক্তির কথা বলে গেছেন। তাইতো তিনি জাগরণের কবি, মুক্তির কবি।’ গতকাল মঙ্গলবার খুলনা নগরীতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে কবি কাজী নজরুলের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, কাজী নজরুল আজীবন সাম্যের গান গেয়েছেন। ধনী-দরিদ্রের সাম্য, নারী-পুরুষের সাম্য, হিন্দু-মুসলমান- বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানের মধ্যে সাম্য ছিল তার লেখনীর মূল প্রতিপাদ্য। তিনি আরও বলেন, পরাধীনতার শেকল ছিঁড়ে কীভাবে আপন শক্তিতে জ্বলে উঠতে হয় তা তিনিই প্রথম জাতিকে শিখিয়েছিলেন। তাই যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, যত দিন বাঙালি জাতি থাকবে তত দিন তাঁর সাহিত্যকর্ম প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকবে।