শীতের আগমনী বার্তায় মেহেরপুরের মুজিবনগরে লেপ-তোশক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে। গ্রামের নারীরাও শীত নিবারণের জন্য কাঁথা সেলাই করে নিচ্ছেন।
মুজিবনগর বাজারের বিভিন্ন বেডিং এর দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, কারিগররা লেপ-তোশক তৈরিতে বেশ ব্যস্ত। কোনো কারিগর তুলো ধুনছেন। কেউবা ব্যস্ত লেপ-তোশক সেলাইয়ের কাজে। অনেকে আবার লেপে হরেকরকম ডিজাইন ফুটিয়ে তুলছেন। পুরোনো লেপ মেরামতের পাশাপাশি এলাকার অনেকেই শীত নিবারণের প্রস্তুতি হিসেবে নতুন লেপ তৈরির জন্য দোকান গুলোত ভিড় করছেন।
লেপ তৈরি করতে আসা আব্দুর রশিদ নামের এক বলেন, ‘কার্পাস তুলা দিয়ে একটি লেপের অর্ডার দিয়েছি। এ ছাড়া একটি পুরোনো লেপ মেরামতের জন্য এনেছি। কাপড়, তুলা, মজুরিসহ ১ হাজার ৪০০ টাকা খরচ হচ্ছে।’ লেপের মূল্য খুব একটা বেশি নয় বলে জানান তিনি।
কয়েকজন লেপ-তোশক বানানোর কারিগরের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর লেপ-তোশক বানিয়ে কম মজুরি পাওয়ার কারণে খুশি নন কারিগররা। তাঁদের মতে, একটি লেপ তৈরিতে মহাজন তাঁদের মজুরি দিচ্ছেন ২০০ টাকা। অথচ সেই লেপ ক্রেতাদের কাছে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
কারিগরদের মজুরি কম হয়েছে মানতে নারাজ কেদারগঞ্জ বাজারের মল্লিক বেডিংয়ের জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, ‘মজুরি সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। লেপ তৈরির খরচ তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে। লেপ বানাতে সাধারণত কার্পাস তুলা ব্যবহার করা হয়। একটি দুই স্তরের লেপ বানাতে চার থেকে পাঁচ কেজি তুলা লাগে। খরচ পড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।