চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের মহানন্দা নদীর ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ৫০০ পরিবার। চৌডালা ইউনিয়নের দক্ষিণ ইসলামপুর, উত্তর ইসলামপুর ও বালুটুঙ্গি এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে কয়েক শ বাড়ি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মহানন্দা নদীতে ভাঙনের সৃষ্টি হওয়ায় নদীর কাছাকাছি থাকা বাড়িগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রবু বলেন, ভাঙনে তাঁর বাড়িসহ পাঁচ-ছয়টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাঁরা এখন চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছেন। তাই নদীভাঙন থেকে রক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাঁরা।
গৃহিণী আয়েশা বেগম বলেন, নদীভাঙনে তাঁদের বাড়ির দুটি ছাগলসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে রাতে তাঁরা ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। আরেক গৃহিণী নাসরিন বেগমও আতঙ্কে দিন কাটানোর কথা বলেন।
বৃদ্ধা সাজেদা বেগম বলেন, ‘হারঘে দেখার কেহু নাই। হামরা সরকারের কাছে চাহাছি নদীটাকে বাইন্ধা দিক। হামরা কোনো সাহায্য চাহি না, নদী বাইন্ধা চাহি।’
চৌডালা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ‘মাঝেমধ্যে কিছু জিও ব্যাগ ও বালির বস্তা দিয়ে প্রোটেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু আশানুরূপ না হওয়ায় ভাঙনের ঝুঁকি থেকে যায়। জেলা প্রশাসক ইতিমধ্যে উক্ত ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন।’
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অতি দ্রুত একটি টিম ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবে। তারপর প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’