পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে বগুড়ার তাঁতবস্ত্র ও কুটির শিল্প পণ্য মেলার লটারির টিকিট বিক্রি। এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার অজুহাতে পুনরায় লটারির টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন মেলার আয়োজকেরা। গত শনিবার থেকে উপজেলাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলে অটোরিকশায় মাইকিং করে বিক্রি করা হচ্ছে লটারির টিকিট।
গত ২৩ মে শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের মাঠে শুরু হয় মেলা। এ মেলার প্রবেশমূল্য ধরা হয় ২০ টাকা। এই টিকিটের ওপর র্যাফল ড্র আয়োজন করে মেলা কর্তৃপক্ষ। ঘোষণা করা হয় মোটরসাইকেল, স্বর্ণের চেইন, টিভি, ফ্রিজসহ ৬১টি পুরস্কার। এসব পুরস্কার পাওয়ার আশায় মেলার দর্শনার্থীসহ উপজেলার সাধারণ মানুষ একাধিক লটারির টিকিট কিনতে থাকেন।
গেটের বাইরে টিকিট বিক্রি বন্ধ করার জন্য ১ জুন মেলা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয় জেলা প্রশাসন। পরে জেলা প্রশাসনের এই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে জেলাব্যাপী টিকিট বিক্রি অব্যাহত রাখতে আদালতে আবেদন করেন মেলার অন্যতম আয়োজক সংগঠন বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ মিঠু। আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে জেলা প্রশাসনের নির্দেশকে খারিজ করে দেন। এ কারণে পূর্ণোদ্যমে চলতে থাকে মেলা।
৯ জুন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, শিগগির বন্ধ হতে যাচ্ছে এ মেলা। এ ঘোষণার পর মেলা বন্ধ না হলেও বিতর্কের মুখে ১২ জুন মেলার লটারি টিকিট বিক্রি বন্ধ করে মেলা কর্তৃপক্ষ।
পুনরায় মেলার লটারির টিকিট বিক্রি বিষয়ে মণিপুরি জামদানি, বেনারসি তাঁতি কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে এবং আমাদের লটারির ক্ষেত্রে কোর্টের অনুমতিও আছে; তাই পুনরায় লটারি চালু করেছি।’
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর বগুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম তুহিন বলেন, প্রশাসন মেলার অনুমতি দিয়েছে। জনস্বার্থে তারা মেলা বন্ধ করতে পারে। তাহলে সব ঝামেলা বন্ধ হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি। খুদেবার্তা পাঠালেও উত্তর দেননি। একইভাবে বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহার সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি।