Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

২ যুগেও হয়নি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর

২ যুগেও হয়নি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মির্জাপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই যুগ অতিবাহিত হলেও গড়ে ওঠেনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। পৌরসভার ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গার ব্যবস্থা করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে যেখানে-সেখানে ফেলা হচ্ছে শহরের ময়লা-আবর্জনা। এতে বাসস্ট্যান্ড, বাসাবাড়ি ও ব্যস্ততম সড়কের পাশে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় ভাগাড়।

বাতাসে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে ময়লার দুর্গন্ধ। এসব স্থানে দুর্গন্ধকে সঙ্গী করেই বাস করতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। রাস্তায় বের হলে দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হয় পথচারীদের। এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছে পৌরবাসী।

জানা গেছে, ২০০০ সালে তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা অর্জন করেছে মির্জাপুর পৌরসভা। ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে মির্জাপুর উপজেলা। এ ছাড়া পৌর সদরে রয়েছে কুমুদিনী হাসপাতাল অ্যান্ড মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ পায়নি পৌরবাসী।

পৌর এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও উপজেলার সদরের লক্ষাধিক মানুষ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে। এত সব মানুষ, শহরের কয়েক শ যানবাহন, হাটবাজার ও বাসাবাড়ি মিলে প্রতিদিন কয়েক টন বর্জ্য তৈরি হয় শহরে। কিন্ত এসব বর্জ্য ফেলার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। ফলে যত্রতত্র ফেলা হয় ময়লা-আবর্জনা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পুরোনো বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে, পুরাতন সড়কের লৌহজং নদীর বারোখালি ব্রিজের দক্ষিণ পাশে, মির্জাপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামসংলগ্ন পুকুরে, কাঁচাবাজারের উত্তর পাশে, ডাকবাংলোর পাশে, থানার সামনের বিজ্রের পাশে এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে ওই সব এলাকার বাসিন্দা এবং সড়কে চলাচলকারীদের হাত দিয়ে নাক চেপে স্থান অতিক্রম করতে হচ্ছে। বিশেষ করে লৌহজং নদীর বারোখালি ব্রিজসংলগ্ন বাইমহাটি প্রফেসরপাড়া, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পাশে এবং কাঁচাবাজারসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া দুর্গন্ধের কারণে কলেজ রোডের সৈয়দ টাওয়ার ও মুনসুর টাওয়ারের বাসিন্দারা রাত হলে ফ্ল্যাটের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহায় পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে। সৈয়দ টাওয়ারের বাসিন্দা সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল বলেন, ‘শহরের প্রাণকেন্দ্র যদি এমন অবস্থা হয়। তাহলে কোথায় গিয়ে বাস করব।’

প্রফেসরপাড়ার বাসিন্দা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘ময়লার দুর্গন্ধে মন চায় বাসাবাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছেড়ে চলে যাই।’

মির্জাপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকী বলেন, ময়লা-আবর্জনার দুগন্ধ থেকে রেহায় পেতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, ‘প্রশাসনের কাছ থেকে জায়গা বরাদ্দ চাওয়ার পাশাপাশি কেনারও চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের একটি কোম্পানির সঙ্গে আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। ওই কোম্পানি ময়লা-আবর্জনা থেকে জৈব সার প্রস্তুত করে থাকে। তারা শহরের প্রতিদিনের ময়লা প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ নিয়ে যাবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ